রাশিয়ার দরজায় মার্কিন তালাটা আরও পোক্ত হচ্ছে। এবার আমেরিকান কার্ড নেটওয়ার্ক ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং আমেরিকান এক্সপ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পরিষেবা রাশিয়ায় কাঁচি। ইউক্রেনের উপর রুশ হামলায় নানা মার্কিন সংস্থার পরিষেবা রাশিয়ায় বন্ধ হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ফেডএক্স, ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিসের মতো বড়সড় লজিস্টিক কোম্পানি। এবার ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেসের জোর ধাক্কা। যা বেশ ভাল মাত্রায় প্রভাব ফেলবে রুশ অর্থব্যবস্থায়, মনে করছেন অর্থশাস্ত্রীদের অনেকেই।
এখন ভিসা ও মাস্টারকার্ড কি রাশিয়ায় ব্যবহার করা যাবে?
এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল, ব্যাঙ্কগুলি ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে সব কার্ড ইস্যু করেছে, সেইগুলি আর কাজ করবে না রাশিয়ায়। রাশিয়ার বাইরে ইস্যু করা কার্ড রাশিয়ায় এবং রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির ইস্যু করা কার্ড বাইরে কাজ করবে না। মানে, তারা এখন মৃত। এটিমে ঢোকালে সাড়া দেবে না, অন-লাইন পেমেন্টও নিস্তরঙ্গ থাকবে।
কোনও বিকল্প কি রয়েছে রাশিয়ার হাতে?
না, এটাই প্রথম নয়, ২০১৪ সালে এমন এক দফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল মস্কো। তখনও ভিসা, মাস্টারকার্ডের মতো নেটওয়ার্ক রাশিয়ার নাকে ঝামা ঘষে দিতে চেয়েছিল। বলতে চেয়েছিল, আমরা চাইলে তোমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, এই দেখো--। তখন রাশিয়া তাদের নিজের পেমেন্ট সিস্টেম মির (Mir) নিয়ে আসে বাজারে। সেইটি ২০১৫ সালে তা আলো দেখে। মিরের আক্কেলে খানিকটা হলেও রাশিয়া আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। এছাড়াও রয়েছে। কী? চিনের ইউনিয়ন-পে (UnionPay), এই পেমেন্ট সিস্টেমকে রাশিয়া খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাইছে এখন। এই সিস্টেম, বলা হয়, নাকি ১৮০টি দেশে সক্রিয়।
আরও পড়ুন Explained: শেয়ার বাজারে বড় পতনের কারণ কীভাবে লুকিয়ে তেলের ভিতর, জানেন?
নিষেধাজ্ঞার প্রভাবটা কী?
এই যে রশি-টা কাটা হল অর্থের, তা নিয়ে রুশরা একেবারেই ভাবিত না। কিস্যু হবে না, এমনই বডিল্যাঙ্গুয়েজ। কিন্তু অতটা হেলাফেলার মতো কিন্তু নয় এই ব্যান। কারণ, ভিসা-মাস্টারকার্ডের পরিসরটা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় মাথা ঘোরানোর মতো। কাছাকাছি ৯০ শতাংশ। ফলে চিনের নেটওয়ার্কের যতই শরণাপন্নই হোক না কেন পুতিনের অর্থস্রোত, গা বাঁচানো যাবে না কিছুতে।