ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ডেল্টার থেকেও তিন গুণ বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি। ভারতেও এর থাবা বসেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২১৩ ছুঁয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হানা দিয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির জন্য গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে গাইডলাইনের কথা বলেছেন।
কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে
প্রথমত, স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ বা তার বেশি গত এক সপ্তাহে বা জেলার হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সাপোর্টেড আইসিইউ বেড অকুপেন্সি ৪০ শতাংশ। সেক্ষেত্রে জেলাস্তরে কনটেনমেন্ট বিধি আরোপ এবং কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে হবে।
যদি পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের কম হয়
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ, স্থানীয় পরিস্থিতি, জনঘনত্ব মাথায় রেখে ওমিক্রনের অতি সংক্রামক চরিত্রের দিকে নজর রাখতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে কনটেনমেন্ট বিধিনিষেধ আগেই আরোপ করতে পারে প্রশাসন।
কেন জেলাগুলিতে কোভিড বিধিনিষেধ
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিশেষ করে উল্লেখ করেছে, বর্তমান বিজ্ঞানভিত্তিক প্রামাণ্য়ের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। তাই জেলাস্তরে সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখলেই কোভিড বিধিনিষেদ দ্রুত জারি করতে হবে। কোনওভাবেই যেন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না হয়।
কনটেনমেন্টের জন্য কী গাইডলাইন
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই নাইট কার্ফু জারি করতে হবে। বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি, বিয়ে, শ্রাদ্ধ বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি-অভ্যাগতদের প্রবেশে লাগাম পরাতে হবে। অফিস-কাছারি, শিল্পোদ্যোগ এবং গণপরিবহন ব্যবস্থায় ভিড়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কনটেনমেন্ট জোন, বাফার জোন তৈরি করতে হবে। গাইডলাইন মেনে কঠোর বিধিনিষেধ মানার জন্য প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক ক্লাস্টারের নমুনা সংগ্রহ করে INSACOG ল্যাবে পাঠাতে হবে জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য।
আরও পড়ুন ভারতে বুস্টার ডোজ কত দূর, বুস্টারশক্তি কি রুখতে পারবে ওমিক্রন?
বাকি গাইডলাইনগুলি কী
টেস্টিং, ট্রেসিং বাড়াতে হবে। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ বাড়ি বাড়ি ঘুরে কেস খুঁজতে হবে। কোমর্বিড রোগী, সারি, ইলি এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের তথ্য জোগাড় করতে হবে। দৈনিক আরটি-পিসিআর টেস্টের পরিসংখ্যান রাখতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন