পাক বিতর্ক হাজির হয়েছে গাড়ির চাকায়। কোরিয়ার বহুজাতিক মোটরগাড়ি সংস্থা হুন্ডাই এই জাতীয় বিতর্কের কেন্দ্রে। তাদের নামধারী একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট থেকেই এই হইচই।
কী এই হুন্ডাই-বিতর্ক?
হুন্ডাই ইন পাকিস্তান-- এই নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে, ৫ ফেব্রুয়ারি একটি টুইট করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারিকে কাশ্মীর সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে পাকিস্তান। পাকিস্থানে বিচ্ছন্নতাবাদীদের যে লড়াই চলছে, তাকেই খুল্লমখুল্লা সিলমোহর দেওয়া হয় এই দিনে। এখন, 'হুন্ডাই ইন পাকিস্তান' টুইটার হ্যান্ডল থেকে করা ওই টুইটে স্বাধীনতার লড়াইয়ে কাশ্মীরিদের আত্মবলিদানের গান গাওয়া হয়। মানে, স্মরণ করা হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যকলাপে পাকিস্তানের সমর্থনের যে সুর, হুন্ডাইয়েরও সেই সুর ফুটে ওঠে, মিলে সুর মেরা তুমহারা হয়ে যায়। ওই একই পোস্ট ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়, তাতে বিতর্কে ঘৃতাহুতি পড়ে। ভারতের পক্ষে বিরক্তি উদ্রেককারী এই টুইট নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে। তাহলে কি হুন্ডাইয়ের চাকার আড়ালে এই সব ছিল নাকি?
হুন্ডাই ও ইন্ডিয়া
ভারতে হুন্ডাই-এর বিরাট ব্যবসা। চার চাকাকে তারা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আনতে চাইছে, তবে মান বজায় রেখে। একের পর গাড়ির মডেল এনেছে বাজারে। দিনে দিনে তাদের বিক্রি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এখন তারা দু'নম্বর গাড়ি-বিক্রেতা এ দেশে। তাদের আগে আছে, মানে একে -- মারুতি সুজুকি এবং তিন আছে টাটা মোটর্স। ভারতে হুন্ডাই বিশাল সংখ্যক গাড়ি নির্মাণও করে। তামিলনাড়ুর ইরুগাত্তুকোট্টামি এবং শ্রীপেরাম্বুদুরে কারখানা রয়েছে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া-র। দাবি, প্রতি ৩১ সেকেন্ডে একটি গাড়ি তৈরির ক্ষমতা নাকি তারা রাখে। ভারতে যাদের এত বড় কারবার, তারা তো টুইটারে ওই কন্ট্রোভার্সি-কারবারে চিন্তায় পড়বেই। ফলে ওই টুইটকে নস্যাৎ করে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়াকে বিবৃতি দিতে হয়েছে। বিতর্কিত পোস্টটি টুইটার এবং পেসবুক থেকে ডিলিট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন গাঁজা থেকে ওষুধের দুনিয়ায় দুরন্ত অগ্রগতি, কারণটা জানেন কি?
কী বলছে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া?
তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৫ বছর ধরে ভারতের বাজারে হুন্ডাই কাজ করছে। যা পুরোপুরি নীতিনৈতিকতার উপরে দাঁড়িয়ে। ভারতের জাতীয়তা বোধকে তারা সম্মান করে। তাদের কথায়, 'হুন্ডাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট অযাচিত। যা এ দেশের প্রতি আমাদের অদ্বিতীয় অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে। অসংবেদনশীল বার্তার বিরুদ্ধে আমাদের সংস্থা, এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স। এই ধরনের মতামতের তীব্র নিন্দা করছি।'