Advertisment

Explained: 'অ্যান্টিসোশ্যাল' তকমা সরাতে নিজেরই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্পের?

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফুল ফোটাবেন না কি আবর্জনার জন্ম দেবেন, সেটা দেখতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Donald Trump

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রুথ সোশ্যাল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। দেখতে চলেছে দিনের আলো। এক বছরের বেশি সময় ট্রাম নিষিদ্ধ প্রায় সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, ফলে নিজেই চাইছেন নিজের কাজটা করতে। আপনা হাত জগন্নাথ, এই থিয়োরি। 'তৈরি হোন, আপনার প্রিয় প্রেসিডেন্ট আপনার সঙ্গে জলদি দেখা করবে।' পোস্ট করছেন ট্রাম্প, সব ঠিক মতো চললে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি সপ্তাহ খানেক পরই সামনে আসবে। যা দেখতে অনেকটা টুইটারের মতো। ট্রাম্পের ছেলে এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ আরও কেউ কেউ এটির স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, তা থেকেই এই চেহারাটা বোঝা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নকলনবিশি করছেন ট্রাম্পসাহেব, হুল ফোটাচ্ছেন কেউ কেউ।

Advertisment

ট্রুথ সোশ্যাল কেন?

ট্রাম্প প্রথম এই অ্যাপের ঘোষণা করেন গত বছরের অক্টোবরে। বলেন, বড় টেক কোম্পানিগুলির প্রতিযোগী হিসেবে সামনে আসতে চলেছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, টুইটারের সঙ্গে প্রতিযোগিতার গালভরা ঘোষণা করেছেন এ ভাবে। যে সব সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে কাঁচি করে দিয়েছে। এর পর… হ্যাঁ এর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বড় বড় টেকনোলজি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এর পর। ক্রমে নিজের হাতে একটি অস্ত্রের দরকার হয়ে পড়ে তাঁর। তা অবশ্যই হতে হবে ব্রহ্মাস্ত্র। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পথে না এগিয়ে গেলে চলবে না, বুঝতে পারেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তাই এই অ্যাপের ভাবনা।

কোন সময়ে অ্যাপ?

এই অ্যাপ ট্রাম্প মিডিয়া এবং টেকনোলজি গ্রুপ তৈরি করেছে। এবং যখন এইটির আবির্ভাব হচ্ছে, হ্যাঁ, আবির্ভাবই বলতে হবে, ট্রাম্প বলে কথা, তখন দক্ষিণপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিস্তার হচ্ছে আমেরিকায়। টুইটারের বিকল্প পার্লার, গ্যাব, গেটারের মতো সামাজমাধ্যমের পরিধি বেড়ে উঠছে।

আরও পড়ুন Explained: হাইড্রোজেনে সবুজ যোগে ‘অক্সিজেন’, সে সম্পর্কে জানেন কি?

শুরুর সমস্যা

গত বছর ট্রাম্প এই অ্যাপের ঘোষণা করার পর, তাঁকে ট্রোল করা হয় ঝড়ের বেগে। প্রচুর কটাক্ষ শোনা যায় নানা মহলে। লাইসেন্স নিয়েও জটিলতায় পড়েন ট্রাম্প। এই সামাজমাধ্যমটি মাস্টোডন নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরি করেছে। কিন্তু প্রোডাক্টের কোথাও ওই মাস্টোডনের নাম নেই। অর্থাৎ কিনা ক্রেডিট দেওয়া হয়েনি ওই সংস্থাটিকে। যা সফটওয়্যার-নীতি লঙ্ঘন। ফলে টানাপোড়েন শুরু হয়। যদিও পরে সমস্যা মিটেছে।

আরও পড়ুন ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার নিয়ে জলঘোলা, যে কোনও মুহূর্তে কি রুশ হামলা?

আপাতত, অপেক্ষা ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ার। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফুল ফোটাবেন না কি আবর্জনার জন্ম দেবেন, সেটা দেখতে হবে। অনেকে তবুও বলছেন, ট্রুথ সোশ্যাল কেন, এটির নাম ট্রামপেট হলেই ভাল হত।

Donald Trump
Advertisment