Advertisment

Explained: মোদী সরকারের সঙ্গে অম্ল-মধুর সম্পর্ক তাঁর, কে এই জর্জ সোরোস?

বিদেশমন্ত্রীর মতে, সোরোস 'বিপজ্জনক'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
George Soros

জর্জ সোরোস

গত ১১ এপ্রিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার বিষয়বস্তু ছিল, জর্জ সোরোসের ব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থানের বৈপরীত্য। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে বিশিষ্টরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পক্ষে রীতিমতো জোরদার সওয়াল করেন, জর্জ সোরোস তাঁদের অন্যতম। এই সব ব্যক্তিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী এবং বিরাট এক জগৎ বা পরিচয় থাকে। তাঁদের এই সব সওয়ালের প্রভাব ওই ক্ষমতাশালী বিরাট ঘনিষ্ঠ বৃত্তের ওপরও প্রভাব ফেলে।

Advertisment

বিদেশমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি
বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর যে সোরোসকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেন না, তা নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, সোরোস একজন পুরনোপন্থী, ধনী ব্যক্তি। যিনি খুব বেশি নিজের মতামত জানান। আর, বিদেশমন্ত্রীর কথায় এই সব কারণেই সোরোস অত্যন্ত 'বিপজ্জনক' লোক। অথচ, সেই 'বিপজ্জনক' ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠনের সাহায্যেই রাষ্ট্রসংঘে দিনের পর দিন বড়সড় অবদান রেখেছে ভারত। বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়েছে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা
শুধু তাই নয়, বিশ্বে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ভারত রাষ্ট্রসংঘের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকারী তহবিল বা ইউএন ডেমোক্রেসি ফান্ড (ইউএনডিইএফ)-এ গত বছরই ১৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এবং জার্মানির পর এই খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থদান। আরও ৪৫টি দেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার খাতে রাষ্ট্রসংঘকে অর্থ দিয়েছে। কিন্তু, ভারত তাদের মধ্যে সবার আগে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত রাষ্ট্রসংঘের এই তহবিলের প্রতি লাগাতার সমর্থন জানিয়েছে। কারণ, ভারত মনে করে যে, এই তহবিল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বড় কাজে লাগছে। রাষ্ট্রসংঘের চেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করছে।

আরও পড়ুন- আপ এখন জাতীয়, অস্বস্তি তৃণমূলের! কোন সমীকরণে জোটে সর্বভারতীয় দলের তকমা?

তারপরও কেন কেন্দ্র সোরোস-বিরোধী?
কারণ, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের আগে এক আন্তর্জাতিক মহলের বক্তৃতায় শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং হিন্ডেনবার্গের গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পরে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলোর শেয়ার বিক্রি সম্পর্কে কড়া কথা বলতে শুরু করেছিলেন সোরোস। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'গণতান্ত্রিক' দেশের নেতার মত আচরণ করছেন না। তিনি আসলে স্বৈরতান্ত্রিক নেতার মত আচরণ করছেন। আর, একইসঙ্গে সোরোসের মত ছিল, 'আদানি' ইস্যু ও তার কঠোর সমাধান ভারতে 'গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দরজা খুলতে পারে।' যাতে ক্ষুব্ধ কেন্দ্র।

USA S jaishankar Modi Government
Advertisment