উত্তর ভারত বর্তমানে বর্ষার একটি অত্যন্ত আর্দ্র পর্বের মধ্যে রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে যথেষ্ট বেশি হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংস এবং প্রাণহানি ঘটেছে। এবছর বর্ষার মরশুম খুব একটা ভেজা থাকবে বলে আশা করা হয়নি। শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালোও ছিল না। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, স্বাভাবিক বর্ষা হবে। সেই আশ্বাসদায়ক ভবিষ্যদ্বাণী সত্ত্বেও এল নিনোর ফলে বৃষ্টিপাত কম হবে বলে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করেছিলেন।
Advertisment
উত্তরে খারাপভাবে আঘাত বর্ষার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে, সমগ্র ভারতে ৫০%-এর বেশি বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিপর্যয়, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃষ্টিপাতের কারণে জুনের শেষে এই ঘাটতি ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। জুলাই মাসে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল এখনও বেশ ভেজা। সামগ্রিকভাবে, ভারতে জুলাই মাসে প্রত্যাশার চেয়ে ২৬% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত মরশুমের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করেছে।
রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি এখনও পর্যন্ত দেশের উত্তরের রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে জুলাই পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পঞ্জাবে হয়েছে তিন গুণ বেশি। দিল্লিতে এই মাসে কয়েক দিনে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত হয়েছে। হরিয়ানাতেও মাসের প্রথম দশ দিনে প্রত্যাশিত বা দ্বিগুণেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
মৌসুমি বায়ু ও পশ্চিম ঝঞ্ঝার জের চণ্ডীগড়ে রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে মাত্র তিন দিনে ৫৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যাশিত ৩০ মিলিমিটারের চেয়ে সামান্য বেশি। এটি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি বৃষ্টি। একইভাবে লাদাখে গত তিন দিনে স্বাভাবিকের সাত গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে উত্তর ভারতে একত্রিত হওয়া মৌসুমি বায়ু এবং পশ্চিমা ঝঞ্ঝা মিশে এই ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে বলেই আবহাওয়া দফতর দাবি করেছে।