Delhi Farmers Agitation: বছর তিনেক আগে দিল্লির দোড়গোড়ায় কৃষক বিক্ষোভ নজর টেনেছিল গোটা বিশ্বের। সেই বিক্ষোভ প্রত্যাহারের দুই বছরেরও বেশি সময় পরে, কৃষকরা আবারও রাজধানীর রাস্তায়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য চণ্ডীগড়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করছিলেন।
- চণ্ডীগড়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে।
- কৃষকদের ঠেকাতে ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল।
- বিক্ষোভকারী কৃষকরা ব্যারিকেডগুলো সরাতে শুরু করেছিলেন।
কাঁদানে গ্যাসের শেল
মঙ্গলবার পঞ্জাব-হরিয়ানা (শম্ভু) সীমান্তে, বিক্ষোভকারী কৃষকরা ব্যারিকেডগুলো সরাতে শুরু করেন। এর পরেই হরিয়ানা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তার আগে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে 'দিল্লি চলো' মিছিল শুরু করেছিলেন কৃষকরা। যার পরপরই হরিয়ানা পুলিশ সীমান্তে বেশ কয়েকজন কৃষককে আটক করে। তাঁদের যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বৈঠক
সোমবার রাতে এক অচলাবস্থার মধ্যে কৃষক সংগঠনগুলোর নেতারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও অর্জুন মুন্ডার মধ্যে দ্বিতীয় দফা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এর পরেই তাঁরা দিল্লির দিকে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নেন। দাবি এবং নেতৃত্ব- উভয় ক্ষেত্রেই কৃষকদের ২০২৪ সালের প্রতিবাদ ২০২০-২১ এর বছরব্যাপী আন্দোলন থেকে অনেকখানি আলাদা। সেবার কৃষকরা তাদের লক্ষ্যে সফল হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষি সংস্কার এজেন্ডা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করেছিলেন।
কী নিয়ে কৃষকদের এবারের বিক্ষোভ?
কিষাণ মজদুর মোর্চা (কেএমএম)-এর ব্যানারে ২৫০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন রয়েছে। তার মধ্যে ১০০টি সংগঠন এই মোর্চার অধীনে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও ১৫০টি ইউনিয়নের একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। যা সম্মিলিত কিষান মোর্চা (অরাজনৈতিক) নামে পরিচিত। তারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মূলত, বিরোধী আম আদমি পার্টি-শাসিত পঞ্জাব থেকে এই যৌথ প্রতিবাদের সূচনা হয়েছে। কৃষকদের এই দুটি মঞ্চ, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষেই 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছিল। বিক্ষোভরত কৃষকদের অভিযোগ, দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতেই তাঁরা দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছেন। কেন্দ্র প্রথমে জানিয়েছিল, তারা ঘোলা মনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু, বৈঠকে ব্যর্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যারিকেড, পেরেক, ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চাষিদের ক্ষোভ প্রশমনে তাঁকে ‘ভারতরত্ন’, কীভাবে কৃষকদের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন চরণ সিং?
২০২০-২১ সালের কৃষক বিক্ষোভের নেতারাই কি আবার বিক্ষোভ শুরু করেছেন?
না। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা (অ-রাজনৈতিক) সংগঠন হল এমন একটি সংগঠন, যারা ২০২২ সালের জুলাইয়ে মূল সম্মিলিত কিষান মোর্চা (এসকেএম) থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এই সংগঠনের সমন্বয়কারী হলেন পঞ্জাব-ভিত্তিক ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) সিধুপুর খামারের সভাপতি জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়ালের ইউনিয়ন। এঁরা প্রধান সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এসকেএম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।