লিওনেল মেসি, তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় খেলাটি আজ রাতেই খেলবেন। কারণ, আজ রাতেই ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রতিপক্ষ ফ্রান্স বেশ শক্তিশালী। তার ওপর ফুটবল দলগত খেলা। আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশের সবাই আবার মেসির মানের কাছাকাছিও নন। তাই মারাদোনার দেশের রবিবাসরীয় ম্যাচ মেসিকেন্দ্রিক। একটি পরিচ্ছন্ন নিখুঁত খেলা ফাইনালে চান দর্শকরা। আর্জেন্টিনাও তা দিতে চায়। শুধু শুরু থেকে শেষের একটাই শর্ত থাকতে হবে, মেসি নিজের খেলাটা খেলবেন।
ভক্তদের সৌভাগ্য, বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মেসি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আছেন। যে জন্য আর্জেন্টিনা ফাইনালে পৌঁছেছে। তাই বলে আর্জেন্টিনার ভক্তরা এটা মানতে নারাজ যে মেসি ছাড়া তাঁদের প্রিয় দল বেশ খারাপ। বরং, এই দলে এমন কিছু ফুটবলার আছেন, যাঁরা বেশ ভালো। কোচকে নিয়েও গর্ব করা যায়। তবে, মেসি অনবদ্য। অধিনায়ক হিসেবে এবং ভালো খেলার মাধ্যমে তিনি গোটা দলকে চালনা করেন। শুধু চালনা বললে ভুল, দলকে নতুন রেকর্ডের মুখে উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন।
তবে, মেসির যা রেকর্ড, তাতে এবারের বিশ্বকাপটা জিতে গেলেও সেটা তাঁর কিংবদন্তি কেরিয়ারের শেষ রূপকথা হবে না। তবে, কেরিয়ারের একটা বড় অধ্যায় হিসেবে তো ভবিষ্যতে চিহ্নিত হবেই। আর, এটাও বলা যাবে না যে আজ রাতের ম্যাচের ফলাফল মেসির হাতের বাইরে চলে যাবে। একটি ম্যাচের ভিত্তিতে এক মহান খেলোয়াড়ের পুরো কেরিয়ারকে বিচার করা যত গুরুত্বপূর্ণই মনে হোক না- কেন, সেটা হবে অযৌক্তিক। একইসঙ্গে অবশ্যই বেদনাদায়ক।
আরও পড়ুন- তৃণমূলকে ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি, আসলে কী কনকনে ঠান্ডায় বিজেপির কাঁপুনি রুখলেন শুভেন্দু?
আসলে মেসির প্রতি এই প্রত্যাশা তৈরি হয়ে গিয়েছে ভক্তদের। যার পিছনে রয়েছেন আর্জেন্টিনারই এক কিংবদন্তি খেলোয়াড়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে যাঁর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে দিয়েছিল গোটা দুনিয়াকে। মজার কথা হল, মেসি যখন থেকে ফুটবলে লাথি মারা শুরু করেছেন, তখন থেকেই তাঁকে দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
সেই সময় থেকেই বলা শুরু হয়েছিল, মেসি নাকি মারাদোনার উত্তরসূরি। আর, সেই কারণেই মেসির কাছে ভক্তদের বিশ্বকাপের দাবি এত প্রবল। কারণ, তাঁর পূর্বসূরি মারাদোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়। যে কাপ না-হলে, উত্তরসূরি কিছুতেই পূর্বসূরিকে ছুঁতে পারবেন না মেসি। এমনটাই বিশ্বাস আর্জেন্টিনার সমর্থকদের।
Read full story in English