/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/plasma1.jpg)
নভেল করোনাভাইরাসে যখন আক্রান্ত হয়েছে বিশ্ব সেই সময় ভ্যাকসিন তো দূরঅস্ত কোনও ওষুধও বাজারে নেই যা প্রতিষেধকের কাজ করবে। এমতাবস্থায় সঙ্কটপূর্ণ করোনা রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসামূলক প্রয়োগ হয়েছিল ভারতেই। যে ট্রায়ালের নাম ছিল- অ্যাক্রোনিম প্ল্যাসিড (acronym PLACID)। প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসাপদ্ধতির পুরো নাম কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। দেখা যায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না এই পদ্ধতি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) পরবর্তীতে এই থেরাপিকে নির্দেশিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবও করেছিল। সম্প্রতি যে সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়েই ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
প্লাজমা থেরাপি কী?
প্লাজমা হল রক্তের তরল অংশ। কনভালসেন্ট প্লাজমা হল যে সব রোগীরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদের রক্ত থেকে নেওয়া রক্তরস। এরপর সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি বের করে তা রোগীর দেহে দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ চিকিৎসাতেও এই পদ্ধতিই অবলম্বন করা হচ্ছে দেহে রোগ প্রতিরোধ কাঠামোকে সুস্থ করতে। এই পদ্ধতিকে সংক্ষেপে 'সি পি থেরাপি'-ও বলে।
কেন বিতর্ক তৈরি হল?
আইসিএমআর-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই প্লাজমা থেরাপি দিয়ে কোভিড -১৯ প্রতিরোধ কিংবা মৃত্যুহার বৃদ্ধিকে হ্রাস করা যাচ্ছে না। একাধিক কেন্দ্রে এই প্লাসিড পরীক্ষাটি করা হয়। তাঁর ফলাফলই ২২ অক্টোবর প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে।
এই ট্রায়াল থেকে কী জানা গিয়েছে?
কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করে কোভিড-১৯ রোগীদের শ্বাসকষ্ট এবং শারীরিক দুর্বলতা সাময়িকভাবে কাটলেও মৃত্যু হার কিন্তু কমেনি। জানা গিয়েছে যে ২৩৯ জন পূর্ণবয়স্ক করোনারোগী নিয়ে এই সমীক্ষাটি করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, তামিলনাড়ুর গবেষকরা। তাঁরা এই ২৩৯ জন রোগীর মধ্যে ২২৯ জনের শরীরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার সুস্থ রোগীর রক্ত প্রয়োগ করেন। কিন্তু এই পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল মেলেনি। এই ২২৯ জনের মধ্যে ৪১ জন অর্থাৎ ১৯ শতাংশ রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক। প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে প্রথম সাত দিনে রোগীর স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আসলেও 'শেষ ভাল' হচ্ছে না।
ভারত ছাড়া আর কোন কোন দেশে এই প্লাজমা থেরাপি হয়েছে?
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত চিনে সঙ্কটপূর্ণ মোট ১০৩ জন রোগীদের দেহে ট্রায়াল চলে। নেদারল্যান্ডসেও চলে ConCOVID ট্রায়াল প্রায় ৮৬ জনের দেহে। কিন্তু কোনও পরীক্ষার ফলই আশানুরূপ হয়নি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন