First full term BJP-led government: সময়টা ১৯৯৯। বাবরি ধ্বংসের কারণে অনেক দলের কাছেই অচ্ছুৎ বিজেপি তখন ক্রমশ শরিক পেতে শুরু করেছে। বাজপেয়ী, আদবানিদের চেষ্টায় শিবসেনা, অকালির পাশাপাশি সমতা পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের মত দলগুলো তখন বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছে।
এনডিএর উত্থান
আর, এসব নিয়েই এনডিএ তখন লোকসভায় ৩০৩। বিজেপির মধ্যেও তখন পরবর্তী প্রজন্মের উত্থান ঘটছে। যাকে সঙ্গে করেই সরকার তখন মেয়াদ পূরণের পথে হাঁটা শুরু করে। বিজেপির গা থেকে সাম্প্রদায়িক তকমা ঘোচাতে ট্রাম্প কার্ড বের করেন বাজপেয়ী-আদবানিরা। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয় মুসলিম মুখ এপিজে আবদুল কালামকে। আবার, এই জমানাতেই গুজরাট দেখে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
বাজপেয়ীর তৃতীয়বারের শপথ
তার আগে ১৯৯৯-এর ১৭ এপ্রিল লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল এনডিএ। কংগ্রেস সেইসময় জোট সরকার গড়তে দ্বিধা দেখায়। বিজেপি ৩৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বাকি আসনগুলো তার ২০টি জোটসঙ্গী দলকে ছেড়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৯ সালের ১৩ অক্টোবর, ৭৫ বছর বয়সে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। সেই সরকারই মেয়াদ পূর্ণ করেছিল। আর, এই সরকারই 'মিসাইল ম্যান' কালামকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করেছিল। কালাম জেতায় শাসক বিজেপির খুঁটি আরও শক্ত হয়েছিল।
কংগ্রেসও ভেঙেছিল
এসবের মধ্যেই ফের টুকরো হয়েছিল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস আগেই তৈরি হয়েছিল। ১৯৯৯-এর ২০ মে, সনিয়া গান্ধীকে বিদেশিনি তকমা দিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ পাওয়ার। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি ১৯৯৯ সালের ১০ জুন তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেই ১৯৯৯ সালে কংগ্রেস সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ৪৫৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু, ভোটাভুটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে বেসামাল পাহাড়, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ধস, বিরাট আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা
কার্গিল-কাণ্ডের পরে ভোটগ্রহণ এবং গণনা
ভোটগ্রহণ এবং গণনা আগেই হত। কিন্তু, কার্গিলের লড়াইয়ের জন্য ভোটগ্রহণ আটকে গিয়েছিল। কার্গিলের লড়াই ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই শেষ হয়। দেশভক্তি এবং দৃঢ়তার তকমা তখন অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। সেই আবহেই ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজিত হয়। আট দফার ভোটে ১৯৯৯ সালের ৬ অক্টোবর গণনা শুরু হয়। ৬১.৯৫ কোটি ভোটারের মধ্যে ৩৭.১৬ কোটি বা ৫৯.৯৯% ভোট দেন। মোট ৪,৬৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ছিলেন উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা আসনে। সংখ্যাটা ৩২। সেখান থেকে জয়ী হন ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। ২৮৪ জন মহিলা প্রতিযোগীর মধ্যে জয়ী হন ৪৯ জন।