আজ ১৭ জুলাই থাইল্যান্ডের ব্যাংককে 'বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন'-এর (বিমসটেক) বিদেশমন্ত্রীদের প্রথমবারের মত বৈঠক হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি টুইটে জানান যে স্বাস্থ্য এবং শক্তি, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় এবং চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর সাত সদস্যের এই জোট প্রথম ১৯৯৭ সালে গঠিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরে বৈঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশ্ন হল, কীভাবে এই বিমসটেক শুরু হয়েছিল, কারা এর সদস্য এবং কেন এটি আজ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
বিমসটেক কি?
বিমসটেক একটি আঞ্চলিক সংগঠন, যা ১৯৯৭ সালে ব্যাংকক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে বিআইএসটি-ইসি (বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা-থাইল্যান্ড অর্থনৈতিক সহযোগিতা) নামে এটি পরিচিত ছিল। সংগঠনটি এখন বিমসটেক নামে পরিচিত হয়েছে। যা সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত। ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে মায়ানমার এবং ২০০৪ সালে ভুটান এবং নেপাল এই আঞ্চলিক সংগঠনে যোগ দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের পেরিয়ে বাণিজ্য
বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ২২% বঙ্গোপসাগরের আশেপাশের সাতটি দেশে বাস করে, যার সম্মিলিত জিডিপি $২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সাতটি দেশই ৩.৪% এবং ৭.৫% এর মধ্যে বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে। প্রতি বছর বিশ্বের বাণিজ্য পণ্যগুলোর এক চতুর্থাংশ এই উপসাগর (বঙ্গোপসাগর) পার হয়েই বিদেশে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন- চন্দ্রযান-৩ তো চাঁদে পাড়ি দিল, কীভাবে পথচলা শুরু করেছিল ISRO?
সহযোগিতার ক্ষেত্র বেড়েছে
বিমসটেকের মধ্যে সহযোগিতা প্রাথমিকভাবে ১৯৯৭ সালে ছয়টি খাতে (বাণিজ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন, পর্যটন এবং মৎস্যসম্পদ)-র ওপর দৃষ্টি দিয়েছিল। আর, ২০০৮ সালে তা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয়েছে। ২০২১ সালে বিমসটেক পুনর্গঠনের ফলে প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র নির্দিষ্ট সেক্টরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারত সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং শক্তির পাশাপাশি নিরাপত্তার ওপরও জোর দিয়েছে।