Explained: চতুর্থ ডোজের পর করোনার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা মেলে, জানাল সাম্প্রতিক গবেষণা

ইজরায়েল চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে।

ইজরায়েল চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus Explained

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভ্যাকসিনের গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ডোজ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে ইজরায়েলের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনার তিনটি ডোজের চেয়ে চতুর্থ ডোজটি বেশি কার্যকর। ভারত ইতিমধ্যেই সর্বসাধারণের জন্য তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ চালু করে দিয়েছে।

Advertisment

ইজরায়েলে ভ্যাকসিন প্রদান
ইজরায়েল চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। সেখানে বায়োএনটেকের পিফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ১০ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চের মধ্যে এখানে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সংক্রান্ত নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। এই সময় ওমিক্রনের প্রভাব প্রায় শেষের মুখে চলে এসেছিল। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের গবেষণাটি 'দি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে'। গবেষকরা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি সাড়ে ১২ লক্ষ ব্যক্তির ওপর পিফাইজার ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে যাঁরা মাত্র তিনটি ডোজ পেয়েছেন অথবা ৩ থেকে ৭ দিন আগে করোনার চতুর্থ ডোজ পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের চেয়ে নিশ্চিত করোনা সংক্রমণ এবং গুরুতর করোনা সংক্রমণ চতুর্থ ডোজপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে চার দিন পর শুরু হয়।

আরও পড়ুন- ফের করোনার চোখরাঙানি, দিল্লিতে বাড়ছে সুনামির গতিতে, প্রকাশ সমীক্ষায়

কী জানা গেল
নিশ্চিত সার্স-করোনা-২ ভাইরাস সংক্রমণের হার এবং গুরুতর কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গেছে, এমন রোগীর সংখ্যা তৃতীয় ডোজপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে যত, চতুর্থ ডোজপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে তার চেয়ে কম। নিশ্চিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের ডোজপ্রাপ্তদের সুরক্ষা তেমন একটা নেই মনে হলেও, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে করোনার ডোজ ভীষণ কার্যকর। কারণ, আক্রান্তের পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়নি। যার অর্থ, তাঁর সুরক্ষা হ্রাস পায়নি। এক লক্ষ গুরুতর কোভিড আক্রান্তের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যাঁরা চারটি ডোজ পেয়েছেন তাঁদের সংখ্যা মাত্র ১.৫ শতাংশ। আর যাঁরা তিনটি ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা ৩.৯ শতাংশ। শুধু তাই নয়, চতুর্থ ডোজের পরে ছয় সপ্তাহ পরও গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা হ্রাস পায়নি।

Advertisment

Read story in English

coronavirus Research