পেনশন সংস্কার নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সাক্ষী হওয়ার কয়েক মাস পরে ফের বিক্ষোভে উত্তাল ফান্স। গত চার দিন ধরে, মঙ্গলবার (২৭ জুন) পুলিশের অত্যধিক বলপ্রয়োগের ফলে এক যুবকের মৃত্যুর জেরে ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। গাড়ি ও সরকারি ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফরাসি কর্তৃপক্ষের বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফরাসি স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুক্রবার রাতে ৯৯৪ জন 'দাঙ্গাকারী' গ্রেফতার হয়েছেন। ৭৯ জন সাধারণ পুলিশ এবং সশস্ত্র পুলিশ আহত হয়েছেন। ২,৫৬০ জনের বিরুদ্ধে রাস্তায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেফতার
বিক্ষোভ প্রথম শুরু হওয়ার পর থেকে, ফ্রান্সের রাস্তায় প্রায় ৪৫,০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্যারিসের পরে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মার্সেইলে শান্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ জুন) বিক্ষোভ নিষিদ্ধ হয়েছে। France24-এর মতে, শুক্রবার যখন সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ভাবছিলেন কি না, তখন জবাবে বর্ন বলেছেন যে তাঁরা, 'রীতিমতো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি দেখছেন, তাঁদের লক্ষ্য গোটা দেশে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা।'
আরও পড়ুন- তামিলনাড়ুতে সাংবিধানিক সংকট, কীভাবে তৈরি করলেন রাজ্যপাল রবি?
প্যারিস কেন বিক্ষোভে ফেটে পড়ল?
প্যারিসের শহরতলিতে প্রথম বড় আকারের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। যা এখন ফ্রান্সের আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ১৭ বছর বয়সি নাহেলের মৃত্যুর জেরে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নাহেল নামে ওই তরুণ প্যারিসের পশ্চিম শহরতলির নান্তেরের বাসিন্দা। তিনি প্যারিস শহরের চারপাশে লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় দুই পুলিশকর্মী তাঁকে বাধা দেয়। সংবাদমাধ্যম লে মন্ডের মতে, হলুদ মার্সিডিজ গাড়ি এবং তার তরুণ চালক পুলিশের নজরে আসে। পুলিশকর্মীরা চালককে ট্রাফিক লাইটের কাছে গাড়ি থামাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, চালক সেই নির্দেশ মানেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই যাত্রী।