Advertisment

Explained: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন কী, কেন দরকার পড়ল সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকার

ভারতীয় দণ্ডবিধির খসড়া প্রণয়নকারী টমাস ম্যাকোলে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme_court_new

বুধবার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আইনে বকেয়া বিচার, আবেদন, ১২৪এ ধারায় আইনি কার্যকলাপ- সব স্থগিত করে দিয়েছে। যতক্ষণ না-পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এই আইন পুনরায় বিবেচনা এবং আইনের সুযোগ-সুবিধা পুনরায় পরীক্ষা করছে, ততদিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পক্ষে সওয়াল করলেও পরে সুপ্রিম কোর্ট এই আইন পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে।

Advertisment

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন কী?

১২৪এ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহ হল- ' কেউ শব্দ, কথ্য অথবা লিখিত, অথবা স্বাক্ষরের দ্বারা, অথবা দৃশ্যমান প্রতিনিধিত্ব, অথবা অন্যভাবে, ঘৃণা বা অবজ্ঞা ছড়ায় বা ছড়ানোর চেষ্টা করে, উত্তেজিত করে, অথবা উত্তেজনাকে অসন্তোষে বদলানোর চেষ্টা করে, সরকার তাকে আইন অনুযায়ী আজীবন কারাবাস, সঙ্গে জরিমানাও করতে পারে।'

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের জন্ম কোথা থেকে?

ভারতীয় দণ্ডবিধির খসড়া প্রণয়নকারী টমাস ম্যাকোলে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তবে এটি ১৮৬০ সালে ম্যাকোলের তৈরি দণ্ডবিধিতে যুক্ত হয়নি। কোনও কারণে বাদ পড়ে গিয়েছিল। তার ৩০ বছর পর, ১৮৯০ সালে ১৭তম বিশেষ আইনের মাধ্যমে ১২৪এ ধারাকে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই আইনের বিষয়বস্ত ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। সেই সময় এর শাস্তি বলতে ছিল আজীবনের জন্য দীপান্তর। ১৯৫৫ সালে সেই শাস্তিকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানো হচ্ছে না, মিডিয়ার জল্পনার মধ্যেই স্পষ্ট ঘোষণা ভারতের

এই আইনের প্রতিকূলতা কী?

১৯৫০ সালের গোড়ায় রমেশ থাপার বনাম মাদ্রাজ রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, 'রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ণ করা বা রাষ্ট্রকে উত্খাত করার প্রবণতা না-হলে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজনাপূর্ণ অসন্তোষ বা তার প্রতি খারাপ অনুভূতির কারণে সমালোচনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের ভূমিকা অন্যায্য হিসেবে বিবেচিত হবে না।' বিচারপতি পতঞ্জলি শাস্ত্রী সংবিধান থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ শব্দটি বাদ দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। তারপরও বিভিন্ন সময় এই আইন সরকার ইচ্ছেমতো অসন্তোষ চাপা দিতে ব্যবহার করেছে। বিরোধীদের শায়েস্তা করতে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।

অন্যান্য দেশে রাষ্ট্রদোহ আইন

ব্রিটেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলায় এই আইন বাতিল করা হয়েছে। আমেরিকায় এর ব্যবহার এখনও চললেও, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর আইনটি বাতিল করেছে।

Read story in English

Sedition Constituition of India Supreme Court of India Sedition Law
Advertisment