ষাটের দশকে ১৯৬৩ সালে পঞ্জাব স্টেট গান্ধী স্মারক নিধির নাম বদলে গান্ধী স্মারক নিধি পঞ্জাব-এর নাম একটি স্বাধীন ট্রাস্ট হিসেবে নথিবদ্ধ হয়। যখন পঞ্জাব তিনটি রাজ্যে বিভক্ত হয়, তখন ট্রাস্টের নামকরণ করা হয় গান্ধী স্মারক নিধি পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ।
গান্ধী স্মারক ভবন
গান্ধী স্মারক ভবন, যা সেক্টর ১৬-এ ৫,০০০ বর্গগজ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটা আসলে গান্ধী স্মারক নিধি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলের একটি ইউনিট। ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পরে এই ট্রাস্ট গড়ে উঠেছিল। শুরুতে, ট্রাস্টের নাম ছিল গান্ধী স্মারক নিধি (GSN)। তখন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, মৌলানা আবদুল কালাম আজাদ, শ্রীজগজীবন রাম-সহ অন্যান্য জাতীয় নেতারা ছিলেন এই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।
স্বাধীন ট্রাস্ট হিসেবে নথিবদ্ধ
১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত জিএসএনের কাজ দিল্লি থেকে চলত। পরে ১৯৬২-৬৩ সালে পৃথক রাষ্ট্রীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একটি পৃথক স্টেট গান্ধী স্মারক নিধির নাম নথিভুক্ত হয়। তারপরে পঞ্জাব স্টেট গান্ধী স্মারক নিধির নাম বদলে গান্ধী স্মারক নিধি পঞ্জাব-এর নাম একটি স্বাধীন ট্রাস্ট হিসেবে নথিবদ্ধ হয়। যখন পঞ্জাব তিনটি রাজ্যে বিভক্ত হয়, তখন ট্রাস্টের নামকরণ করা হয় গান্ধী স্মারক নিধি পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ।
ট্রাস্টকে বরাদ্দ
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল জিএসএনের সম্পাদক আনন্দ শরণ বলেন, 'ট্রাস্টকে ১৯৬০ সালে ৫,000 বর্গগজ এলাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই ভবনটি জিএসএন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলের অধীনে আসে। ট্রাস্ট দীর্ঘদিন ধরে ইউটি প্রশাসনকে এই ভবনের সম্পত্তি কর পরিশোধ করে আসছে। এই ভবনটি ট্রাস্টের নয়টি ইউনিটের মধ্যে একটি। অন্যান্য ইউনিটগুলির মধ্যে রয়েছে জলন্ধরের সর্বোদয় ভবন, ডেরা বাসির গান্ধী ঘর, হরসেমানেসার গান্ধী ঘর ইত্যাদি।'
আরও পড়ুন- নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, মৃত্যু কমপক্ষে ৪০ যাত্রীর, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
দেবরাজ ত্যাগী
উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা দেবরাজ ত্যাগীকে ১৯৮৬ সালে গান্ধী স্মারক ভবন, সেক্টর ১৬-এর ইনচার্জ নিযুক্ত করা হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪। যেহেতু তিনি ট্রাস্টের বাসিন্দা ছিলেন, তাঁকে ট্রাস্টের ঘরেই থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি ট্রাস্ট ‘জিএসএন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল’-এর কর্মচারী ছিলেন। সময়ের সঙ্গে ত্যাগী বিয়ে করেন। সংসার করতে শুরু করেন। ত্যাগী এবং তাঁর পরিবার গান্ধী স্মারক ভবনের ভিতরে থাকতে চেয়েছিলেন। ত্যাগী ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
Read full story in English