দেশের জাতীয় গড় উৎপাদন বৃদ্ধির হার জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ যা গত ২৬টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে নিম্নতম। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০১২-১৩ সালে জানুয়ারি-মার্চ মাসে দেশের জাতীয় গড় উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩, এ পর্যন্ত সেটিই নিম্নতম।
গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জাতীয় গড় আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশ। অর্থবর্ষের প্রথম ষান্মাসিকে, অর্থাৎ, এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়কালে বৃদ্ধির হার দাঁড়াল ৪.৮ শতাংশে। এক বছর আগের এই সময়কালে হার ছিল ৭.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন, ফাস্ট্যাগ: কী, কেন, কীভাবে
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে উৎপাদন সংক্রান্ত বৃদ্ধির হার -১ শতাংশ। গত বছর এই বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশ। অন্যদিকে কৃষি, বন ও মাছ ধরার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২.১ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৪.৯ শতাংশ। নির্মাণক্ষেত্রেও জুলাই-সেপ্টেম্বরের বৃদ্ধির হার ৩.৩ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৮.৫ শতাংশ।
অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেছিলেন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নিচে নামবে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জাতীয় গড় উৎপাদনে বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের অক্টোবর পলিসিতে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিতে জাতীয় গড় বৃদ্ধির হার সম্ভাব্য ৫.৩ শতাংশ বলে জানিয়েছিল। বাস্তবে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ, যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমানের চেয়ে অনেকটাই কম।
২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে ৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে গেলে বাকি দুটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার অন্তত ৫.২ শতাংশ হতেই হবে।
গৃহস্থের হাতে কম সঞ্চয় ও সরকারের রাজস্ব আদায়ের কম হারের যে পরিস্থিতি চলছে, তার মধ্যে দাঁড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য সুদের হার কমানোর উপরেই সম্ভবত ভরসা করতে হবে।
অর্থনীতির মন্দায় আয়বৃদ্ধির উপরেও কুপ্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা, যার ফলে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা আরও কমবে।
পড়তে ভুলবেন না, বিজেপির এনআরসি+ তৃণমূলের প্রায়শ্চিত্ত= ৩-০