জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার সালাল-হাইমানা এলাকায় ৫.৯ মিলিয়ন টন লিথিয়ামের আনুমানিক সম্পদ রয়েছে বলে দৃঢ়ভাবে অনুমান করছে। এই সব সম্পদগুলো 'রিয়াসি সেরসান্দু-খেরিকোট-রাহোতকোট-দারাবি' খনিজ ব্লকের অংশ বলেই মনে করছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক বিভাগ। ২০২১-২২ সাল থেকে ওই অঞ্চলে লিথিয়ামের মত খনিজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে অনুমান করে জিএসআই অনুসন্ধান চালাচ্ছিল।
সলিড ফুয়েলস অ্যান্ড মিনারেল কমোডিটিজ (ইউএনএফসি ১৯৯৭)-এর রিজার্ভস এবং রিসোর্সেস ফর ক্লাসিফিকেশন ফর ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে, লিথিয়াম প্রাপ্তির এই সম্ভাবনার পর্যায়কে 'জি৪' শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। একাধিকবার সমীক্ষার পরই লিথিয়াম প্রাপ্তির দেখা দিয়েছে এই নতুন সম্ভাবনা। জিএসআইয়ের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, লিথিয়ামের পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বক্সাইট (অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক)-সহ অন্যান্য খনিজ সম্পদও বিপুল পরিমাণে সঞ্চিত রয়েছে।
সর্বশেষ লিথিয়াম অনুসন্ধানের পর বলা হয়েছে, এই বিপুল খনিজ সম্পদ প্রাপ্তি এখনও 'অনুমান'-এর পর্যায়ে আছে। অনুসন্ধানের তিনটি পর্যায়। তার মধ্যে একটি 'অনুমান'। এর অর্থ- পরিখা বানিয়ে ড্রিলের মাধ্যমে গর্ত খুঁড়ে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই খনিজ সম্পদ প্রাপ্তির অনুমান করা হচ্ছে। যা এখনও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরে মাত্র ৫.৯ মিলিয়ন টন লিথিয়াম পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা বলিভিয়ায় প্রমাণিত মজুদ ২১ মিলিয়ন টন, আর্জেন্টিনায় ১৭ মিলিয়ন টন, অস্ট্রেলিয়ায় ৬.৩ মিলিয়ন টনের চেয়ে কম। তবে, চিনে মজুত ৪.৫ মিলিয়ন টনের চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সঙ্গে কথা শেষে তুলকালাম ইঙ্গিত সুকান্তর! তেলেবেগুনে জ্বলছে তৃণমূল
বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও গুজরাটের ব্রাইন পুল, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের মিকা বেল্টে লিথিয়াম আহরণের অনুসন্ধানমূলক কাজ চলছে। বর্তমানে চিনের সঙ্গে ভারত তার আর্থিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। এই পরিস্থিতিতে লিথিয়ামের একটি প্রধান উত্স- আয়ন এনার্জি স্টোরেজ পণ্য দেশে আমদানি করছে ভারত। ২০১৭ অর্থবর্ষ থেকে ২০২০ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতে ১৬৫ কোটির টাকারও বেশি লিথিয়াম ব্যাটারি আমদানি করা হয়েছে। যার আনুমানিক আমদানি মূল্য ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। দেশেই লিথিয়াম পাওয়া গেলে আর বিদেশ থেকে তা আনতে হবে না।
Read full story in English