Advertisment

Explained: গো ফার্স্টের দেউলিয়া হওয়ার আবেদন, সমাধান প্রক্রিয়া রয়েছে কোন পর্যায়ে?

পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর টাকা এখনও মেটাতে পারেনি গো ফার্স্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Go_First

কম খরচের বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট (আগে পরিচিত ছিল গো এয়ার নামে) চলতি বছরের মে মাসের গোড়ায় দেউলিয়া ঘোষিত হতে চেয়ে আবেদন করেছিল। কোম্পানিটি কিছু সময়ের জন্য ইঞ্জিনের সমস্যায় ভুগছিল। যার ফলে তার বিপুল সংখ্যক বিমানের আকাশপথে যাত্রা বন্ধ ছিল। যে সমস্ত বিমানের যাতায়াত বন্ধ ছিল, তার পরিমাণ ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ছিল ৭%। সেটাই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে হয় ৫০%। যার জেরে পাল্লা দিয়ে নেমেছে বিমান সংস্থাটির শেয়ারের দাম।

Advertisment

২০১৯ সালে সেই শেয়ারের মূল্য ছিল ১১%। তিন বছর পর ২০২৩ সালের মার্চে সেটাই কমে হয়েছে ৬.৯%। সংস্থার শেয়ারের দাম কমায় তার প্রভাব পড়েছে নগদের জোগানে। যার জেরে গো ফার্স্ট সংস্থাটির থেকে যারা অর্থ পায়, সেই ব্যাংক এবং পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলোকে বকেয়া শোধ করতে পারেনি বিমান সংস্থাটি। যার জেরে, ব্যাংক এবং পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলো ইনসলভেন্সি অ্যান্ড দেউলিয়া কোড (আইবিসি), ২০১৬ সালের অধীনে প্রক্রিয়া শুরু করে। গো ফার্স্ট সংস্থাও এরপর দেউলিয়া ঘোষিত হতে চেয়ে আবেদন করেছে। সূত্রের খবর, সংস্থাটি এখনও পর্যন্ত ব্যাংকের কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করছে। তবে, পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর এখনও টাকা মেটাতে পারেনি গো ফার্স্ট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এমনটাই ছিল গোটা পরিস্থিতি।

আরও পড়ুন- মোদীর নেতৃত্বে যোগাভ্যাস ইতিহাস গড়ল, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কী?

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে, সরকার দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় খারাপ ঋণের সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করেছিল। সেই কাঠামো অনুযায়ী, কোনও কোম্পানি যদি তার বাধ্যবাধকতা (অর্থনৈতিক এবং কর্মক্ষম ঋণদাতাদের অর্থপ্রদান) করতে অক্ষম হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দুটি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। (১) কোম্পানির দায় পুনর্গঠন করা যেতে পারে। অর্থাৎ, নতুন মালিকদের অধীনে সংস্থাটিকে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। (২) এর সম্পদ বিক্রি করে ঋণদাতাদের অর্থ মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়।

airlines bank Modi Government
Advertisment