গুজরাটের কৃষিমন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল ছাগলের দুধের ব্র্যান্ডিং এবং বাজারজাতকরণের সম্ভাবনা নিয়ে একটা প্রস্তাব চেয়েছেন। বর্তমানে তা শুধুমাত্র অনানুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি হয়। মন্ত্রী সৌরাষ্ট্রের সুরেন্দ্রনগর জেলার ভেড়া এবং ছাগল পালনকারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে গুজরাট স্টেট কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন (GCMMF)। যার মালিক আমুল। এছাড়াও রয়েছে সুরেন্দ্রনগর জেলা সমবায় দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়ন। এর পাশাপাশি, গুজরাট পশুপালন বিভাগের পরিচালকের সঙ্গেও ২৬ অক্টোবর তিনি বৈঠক করেছেন।
গুজরাতে ছাগলের দুধের সম্ভাবনা কতটা?
পশুপালন দফতরের এক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২১-২২ সালে গুজরাতে ছাগলের সংখ্যা ছিল ৫০.৫৫ লক্ষ। ছাগলের দুধ উৎপাদিত হয়েছিল ৩.৩৯ লক্ষ টন (৩২৯ লক্ষ লিটার; ১ লিটার হল ১.০৩ কেজি দুধের সমান)। যা ছিল গুজরাতের মোট দুধ উৎপাদনের প্রায় ২%। একটি ছাগল দৈনিক ১.৫-২ লিটার দুধ উৎপাদন করে। প্রায় ১৫০ দিনের গর্ভাবস্থা। স্তন্যদান সাধারণত চার মাস স্থায়ী হয়। ছাগলের শিশুরা দুই বছরের মধ্যেই প্রজননে পরিপক্কতা অর্জন করে। রাজস্থানে (২.০৮ কোটি), পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে (প্রতিটিতে ১ কোটিরও বেশি) ছাগল আছে। এই সব রাজ্যের তুলনায় গুজরাটে ছাগলের সংখ্যা অনেক কম (২০১৯ সালের পশুসম্পদ শুমারি অনুযায়ী ৪৮.৬৭ লক্ষ)
আরও পড়ুন- বাড়তে চলেছে সংরক্ষণের সীমা, ৬৫% করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী
মন্ত্রীর প্রস্তাবে আমুল কী জানিয়েছে?
GCMMF-এর ১৮টি জেলায় সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক ইউনিয়ন আছে। যার মধ্যে সুরেন্দ্রনগর জেলা সমবায় দুগ্ধ উৎপাদক ইউনিয়নের সুরসাগর ডেয়ারি প্রতিদিন প্রায় ২৫৯ লক্ষ লিটার বা প্রায় ২,৬৬৭ টন দুধ উৎপাদন করে। প্রায় ৫১,০০০ লিটারের মধ্যে ৫% উটের দুধ। যা পাঁচ বছর আগে কচ্ছ জেলার উট পালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা শুরু হয়েছিল। বাকিটা গরু-মহিষের দুধ। GCMMF-এর ভাইস-চেয়ারম্যান ভালমজি হাম্বল বলেন, 'ভারতে কোথাও সংগঠিত দুগ্ধ সংস্থাগুলি ব্র্যান্ড এবং ছাগলের দুধ বাজারে বিক্রি করে না। কোনও সন্দেহ নেই যে ছাগলের দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। কিন্তু, বিক্রিটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। যেমন, কীভাবে একটি পণ্য ব্র্যান্ডেড হয় বা বাজারজাত করা হয়, তার ওপর। আর, দুধ উৎপাদনকারীরা এতে একটি বড় ভূমিকা পালন করেন। যে কোনও নতুন পণ্য বাজারে চালু করার মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিতরণের ক্ষেত্রে মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়।' হাম্বল জানিয়েছেন, একটা আলোচনা চলছে। তবে, ছাগলের দুধের পরিমাণ কম। তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তা সত্ত্বেও, যদি সুরসাগর ডেয়ারি দুধ সংগ্রহে রাজি হয়, তাহলে আমুল ছাগলের দুধ নেবে। আর এর প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনে সাহায্য করবে বলেই হাম্বল জানান।