Advertisment

কী ভাবে তৈরি হয় সুশাসন সূচক?

উত্তরপূর্ব ও পাহাড়ি রাজ্যগুলির হিসেবে শীর্ষে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ (৫.২২)। এরপর রয়েছে উত্তরাখণ্ড (৪.৮৭), ত্রিপুরা (৪.৫) এবং মিজোরাম (৪.৪১)।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Good Governance

২৫ ডিসেম্বর অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনকে সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করা হয়

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সুশাসন সূচক প্রকাশ করেছে। ২৫ ডিসেম্বর অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দিনটিকে সুশাসন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisment

সুশাসন সূচক বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি করা হয়েছে বলা জানানো হয়েছে।

সুশাসন সূচকের যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যকরী ও দক্ষ পদ্ধতি এবং নাগরিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিদ্ধান্ত লাগু (বা না লাগু) করার বিষয়টিই সুশাসন বলে দেখা যেতে পারে। সম্পদ বণ্টন, প্রতিষ্ঠান স্থাপন, নিয়ম নীতি তৈরি, এসবই এই লক্ষ্যের অংশ।

সুশাসন সূচক

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা বয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে প্রশাসনিক পরিস্থিতির তুলনা করবার জন্য গণনাযোগ্য তথ্য সরবরাহ করাই সুশাসনসূচকের লক্ষ্য। এর ফলে প্রশাসনিক কাজকর্মে উন্নতি যেমন ঘটবে, তেমনই ফলদায়ী লক্ষ্য ও প্রশাসনের প্রতি নজর বাড়বে।

রাজ্যের পারফর্ম্যান্সের হিসাব

সুশাসন সূচক ১০টি ক্ষেত্রকে নির্ধারক ধরে। এগুলি হল, কৃষি ও সন্নিহিত বিষয়, বাণিজ্য ও শিল্প, মানব সম্পদ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, জন পরিকাঠামো, কম খরচের প্রশাসন, সামাজিক ন্যায় ও উন্নয়ন, বিচারবিভাগ ও জননিরাপত্তা, পরিবেশ ও নাগরিক-কেন্দ্রিক প্রশাসন।

এই ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করা হয় ৫০টিরও বেশি নির্ণায়কের মাধ্যমে, যার বিভিন্ন মান রয়েছে। এর পর সমস্ত ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে পূর্ণমান হিসেব করা হয়।

যেমন কৃষি ও সন্নিহিত ক্ষেত্র হিসেব করবার জন্য ৬টি নির্ণায়ক রয়েছে- ক্ষেত্রবৃদ্ধির মান দেওয়া হয়েছে ০.৪, খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেওয়া হয়েছে ০.১, হর্টিকালচার উৎপাদন ও দুগ্ধ উৎপাদনের বৃদ্ধিতে দেওয়া হয়েছে ০.১।

বিচারবিভাগ ও জননিরাপত্তার পারফরম্যান্স বিচার করবার জন্য যেসব নির্ণায়ক রয়েছে, তার মধ্যে আছে শাস্তিদানের হার, পুলিশকর্মীদের কতটা পাওয়া যাচ্ছে এবং তার মধ্যে মহিলা পুলিশের অনুপাত কত, এসব হিসাব।

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্রম আলাদা রাখা হয়েছে। ভাগ গুলি এইরকম- বড় রাজ্য, উত্তরপূর্ব ও পাহাড়ি বিভাগ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু (৫.৬২)। এর পর রয়েছে মহারাষ্ট্র (৫.৪), কর্নাটক (৫.১), এবং ছত্তিসগড় (৫.০৫)।

উত্তরপূর্ব ও পাহাড়ি রাজ্যগুলির হিসেবে শীর্ষে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ (৫.২২)। এরপর রয়েছে উত্তরাখণ্ড (৪.৮৭), ত্রিপুরা (৪.৫) এবং মিজোরাম (৪.৪১)।

পরিবেশ সংক্রান্ত পর্যায়ক্রমের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর পর কেরালা, তামিল নাড়ু ও বিহারের স্থান।

আর্থিক সুশাসনের সেরা হয়েছে কর্নাটক। এর পর রয়েছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট ও তামিলনাড়ু।

Advertisment