Government servants and RSS activities: সরকারি চাকরি করে কি আরএসএস করা যায়, কী বলছে আইন?
Official Rules: চলতি মাসের গোড়ার দিকে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (DoPT) দ্বারা জারি করা একটি নির্দেশ অনুসারে, কর্মচারীরা এখন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে আরএসএস (RSS)-এর কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
Official Rules: চলতি মাসের গোড়ার দিকে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (DoPT) দ্বারা জারি করা একটি নির্দেশ অনুসারে, কর্মচারীরা এখন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে আরএসএস (RSS)-এর কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
Government servants and RSS activities: কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)' সংগঠনে সরকারি আধিকারিক বা কর্মীরা সরকারি চাকুরিরত অবস্থাতেও অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রায় ছয় দশক আগে লাগু হওয়া আইনে বলা হয়েছিল, সরকারি চাকরি করলে আরএসএস করা যাবে না। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারমনে করছে, এই আইন 'মুছে ফেলা' উচিত। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (DoPT)-এর জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্মচারীরা এখন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে আরএসএস (RSS)-এর কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
Advertisment
DoPT নির্দেশিকায় কী বলেছে?
৯ জুলাই, কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিওপিটি বলেছে যে সরকার ১৯৬৬, ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সালে জারি করা নির্দেশাবলি 'পর্যালোচনা' করেছে। আর, সেই নির্দেশাবলি থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর উল্লেখ মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই উল্লেখ করা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর, ১৯৭০ সালের ২৫ জুলাই এবং ১৯৮০ সালের ২৮ অক্টোবরের সরকারি নির্দেশনামায় (OMs/অফিসিয়াল মেমোরেন্ডাম)।
আগের সার্কুলারে কী ছিল? ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সময় তো বটেই, ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ডিওপিটি বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্ত ছিল। সেই সার্কুলারে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিষয়ে সরকারের কিছু সন্দেহ উত্থাপিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, জামায়াতে ইসলামির মত সংগঠনের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে তা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের আচরণ সংক্রান্ত ১৯৬৪ সালের বিধি ৫-এর উপবিধি (১)-এর আওতায় পড়বে। যে কোনও সরকারি কর্মচারী, যিনি ওই সংগঠনগুলোর সদস্য বা তাদের কার্যকলাপের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত, সেই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি কর্মীদের জন্য নির্দেশনামা এই বিধি অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারী রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবে না। কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। তার কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সাহায্য করতে পারবে না। কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিতেও পারবে না।