PM Modi New Cabinet: তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আজ শপথ মোদীর।
GSLV-F14 INSAT-3DS: 'নটি বয়' নামটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দুষ্টুমি বা খারাপ কাজের জন্য এই বদনাম। আর, তার বদনামের শেষ নেই। সেই কারণে রীতিমতো নাজেহাল- হাম 'হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়'-এর মোদী সরকারও।
Advertisment
ভারতের সাফল্য 'নটি বয়'-এর কুকীর্তির কথা জানার আগে, ভারতের একটা সাফল্যের কথা জেনে নেওয়া যাক। তা হল, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার আবহাওয়া উপগ্রহ ইনস্যাট-থ্রিডিএস (INSAT-3DS) তার কক্ষপক্ষে নিরাপদে স্থাপিত হয়েছে। এই উপগ্রহ, জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল বা (GSLV) জিএসএলভি-র সাহায্যে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে। লঞ্চ ভেহিকেলটির নাম এফ-১৪ (F14)। আর, সেই কারণে এই লঞ্চ ভেহিকেলকে ডাকা হচ্ছে, জিএসএলভি-এফ-১৪ (GSLV-F14) নামে। যার কারণে ভারত সরকারও রীতিমতো স্বস্তিতে।
'নটি বয়' 'নটি বয়' কোনও মানুষ নয়। জিএসএলভি লঞ্চ ভেহিকেল বা রকেটের একটা বদনাম আছে। প্রায়ই এই রকেট সমস্যায় ফেলে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। অর্থাৎ, দুশ্চিন্তায় ফেলে কেন্দ্রীয় সরকার তথা গোটা দেশকে। এই উৎক্ষেপণ যানের জন্য ভারতের কয়েক কোটি টাকার অভিযান বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ১৫টির মধ্যে চারটি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। আর, এই সব কারণেই বিজ্ঞানীরা জিএসএলভির একটা ডাকনাম দিয়েছেন। যা হল, 'নটি বয়'।
ভালোও আছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা মনে করেন, জিএসএলভির তুলনায় অনেক ভালো পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা পিএসএলভি (PSLV)। 'ভালো' কারণ, পিএসএলভি রকেটের সাহায্যে ইসরোর বিজ্ঞানীরা ৬০টি মহাকাশ অভিযান চালিয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র তিনটি ব্যর্থ হয়েছে। আর পিএসএলভির উত্তরসূরি এলভিএম-৩ (LVM-3)-এর মাধ্যমে সাতটি অভিযান চালানো হয়েছে। তার একটিও এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়নি।
Advertisment
ISRO-GSVL- NAUGHTY BOY: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) শনিবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে GSLV-F14-এর মাধ্যমে ইনস্যাট-3DS আবহাওয়া উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। (এএনআই ছবি)
সমস্যাটা যেখানে জিএসএলভি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করে। যাতে ব্যবহৃত হয় তরল হাইড্রোজেন এবং তরল অক্সিজেন। এটা আগের ইঞ্জিনের রকেটগুলোর তুলনায় অনেক জোরে ধাক্কা দেয়। আর, এই সব কারণেই জিএসএলভি বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থতা যেভাবে ঘটেছে ২০২১-এর আগস্টেই যেমন ব্যর্থ হয়েছিল জিএসএলভি-এফ ১০ (GSLV-F10)। উৎক্ষেপণের প্রায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে, রকেট তার নির্ধারিত গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। ওই রকেট একটি পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট ইওএস-০৩ (EOS-03) বহন করছিল। ওই ক্ষেত্রে জিএসএলভির প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছিল। আর, পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। কিন্তু, খুব কম তাপমাত্রায় তরল হাইড্রোজেন এবং তরল অক্সিজেন দ্বারা চালিত ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন-চালিত ওপরের স্তরটি জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়। যার জেরে রকেটটি স্যাটেলাইট বহন করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। আর, স্যাটেলাইটের সঙ্গে এর ওপরের অংশ সম্ভবত আন্দামান সাগরে গিয়ে পড়েছিল।