দুরন্ত বৃদ্ধি জিএসটি-তে। অর্থমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি সংগ্রহ গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ১৭. ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, পৌঁছেছে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকায়। মঙ্গলবার এই হিসেব সামনে এসেছে, যা এই কঠিন সময়ে সুখকর ও স্বস্তিদায়ক বার্তা দিচ্ছে সরকারকে। সুখ আরও বেশি এই কারণে যে, পর পর ছ'মাস জিএসটি বাবদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ এসেছে সরকারি কোষাগারে।
জিএসটি বৃদ্ধির নেপথ্যে কী?
পর পর ছ'বার জিএসজি সংগ্রহ ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটির উপরে যাওয়াই শুধু নয়, রেকর্ড আরও রয়েছে। এবারই প্রথম জিএসটি সেস সংগ্রহ ছাড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র, বিশেষ করে অটোমোবাইল ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছে এই তথ্যে। জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিএসটির এই বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ২০২২ অর্থবর্ষের জিএসটি সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা তা ছাড়িয়ে যাবে। ডেলয়েট ইন্ডিয়ার পার্টনার এমএস মানি বলছেন, মহামারি-কালে জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি। এটা বুঝিয়ে দিচ্ছে, ঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে সংগ্রহ। এই অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথাই বলছে।
বিভিন্ন রাজ্যগুলির সংগ্রহ কী বলছে?
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, তামিলনাড়ুতে বেড়েছে ৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ২১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে বেড়েছে ৮ শতাংশ, কর্নাটকে ২১ শতাংশ। ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি আয়ের মধ্যে সিজিএসটি, মানে সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স হল ২৪,৪৩৫ কোটি, এসজিএসটি বা স্টেট গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ৩০,৭৭৯ কোটি এবং ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা আইজিএসটি হল ৬৭,৪৭১ কোটি টাকা (এর মধ্যে রয়েছে পণ্য আমদানি বাবদ ৩৩,৮৩৭ কোটি টাকা)। সেস আদায় হয়েছে ১০,৩৪০ কোটি (এর মধ্যে রয়েছে আমদানি বাবদ সেস ৬৩৮ কোটি টাকা)।
ফলে, খুশির হাওয়া গায়ে মাখুন। কিন্তু সেই সঙ্গে এটা মনে রাখবেন, কঠিন দশার শেষ হয়নি। নতুন দানবের আবির্ভাব হয়েছে, তার নাম যুদ্ধ। জিএসটিকে তার সঙ্গে কতটা যুদ্ধ করতে হবে, এখনও তা অস্পষ্ট।
Read story in English