গলার স্বাস্থ্যের সঙ্গে কি কোভিড সংক্রমণের কোনও যোগাযোগ রয়েছে! হাত-নাগ-গলা পরিষ্কার রাখার উপর চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জোর দিলেও, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি, যার জেরে বলা চলে, যে গার্গল করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে।
পুনের সেন্টার ফর রিউম্যাটোলজিতে কর্মরত ডক্টর অরবিন্দ চোপরা। তিনি বলেন, প্রচুর পরিমাণ সাধারণ জল বা উষ্ণ গরম জল পান- সাদা জল বা নুন জলে গার্গল এবং শুতে যাবার আগে কয়েক মিনিটের জন্য স্টিম নেওয়া- এগুলি সবই প্রাচীন পদ্ধতি, সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মনে রাখতে হবে।
ডক্টর চোপরা আয়ুষ মন্ত্রকে একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল গ্রুপের শীর্ষে রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই সাধারণ ব্যবস্থাগুলি স্বাস্থ্যপ্রচারে অন্তর্ভুক্ত করবার কথা লিখেছেন।
ডক্টর শ্রীনাথ রেড্ডি ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন এসব উপায় ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে এটি একটি শ্বাসজনিত ভাইরাস যা নাক থেকে সাইনাস পর্যন্ত গিয়ে গলা ও ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছয়। ফলে, হাত ধোয়া ছাড়া এবং ভাইরাস মুখ অবধি আসতে না দিয়ে গরম জল পান বা স্টিম ইনহেলেশন (ভাপ নেওয়া)-এ কোনও সমস্যা নেই।
ডক্টর রেড্ডি বলছেন কোনও প্রমাণ না থাকলেও এর কিছু সুবিধা থাকতেও পারে, এবং এগুলি চেষ্টা করায় কোনও অসুবিধা নেই।
ন্যাশনাল ইনস্টিট্যুট অফ ভাইরোলজির বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই সময়োচিত উদ্যোগগুলি নেওয়া যেতে পারে কিন্তু এগুলিকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক হিসেবে দেখা ঠিক নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের অ্যাডভাইজরিতে বলেছে নুন জলে নাসারন্ধ্র সাফ করলে সাধারণ সর্দি তাড়াতাড়ি সারে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
তবে এ থেকে শ্বাসজনিত সংক্রমণের প্রতিরোধ হয়, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। বেশ কিছু দেশে গার্গল করা একটা সাধারণ অভ্যাস এবং ফ্লুয়ের মরশুমে দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোবার মতই এ ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হারভার্ড টি এইচ চান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ জানিয়েছে, গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে, তবে এ অভ্যাসের জেরে ভাইরাস ফুসফুসে ঢুকতে পারে না বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন