রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হয়েছে। আর, এরফলে তিনি বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাতে চলেছেন। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। ২০১৯ সালে 'মোদী' পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ করা হয়। শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ লোকসভায় প্রবেশের পর সাংসদ পদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
যাঁরা নিন্দা করেছেন
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলের নেতারাই। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, শশী থারুর, জয়রাম রমেশ, কেসি বেণুগোপাল, তৃণমূল সুপ্রিমো এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরেবাদী) দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের তীব্র নিন্দা করেছেন।
সাধারণত কী কী সুযোগ পান
এই সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় রাহুল বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাতে চলেছেন। এই সুযোগ-সুবিধা ১৯৫৪ সালের তৈরি আইনের জন্য সাংসদরা পেয়ে থাকেন। এই আইন শেষবার সংশোধিত হয়েছিল ২০২২ সালের ১১ মে। এই আইন অনুযায়ী সাংসদরা বেতন, ভাতা, পেনশন পেয়ে থাকেন। এমনিতে একজন সাংসদের বেতন ১ লক্ষ টাকা। তিনি অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে যোগ দিলে সঙ্গে প্রতিটি বৈঠক ও অধিবেশনপিছু ২,০০০ টাকা করে পান। ব্যয় বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে প্রতি পাঁচবছর অন্তর সাংসদদের বেতন ও দৈনিক ভাতা বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন- সাংসদ পদ হারালেন রাহুল, সরকারি বাংলোও ছিনিয়ে নেওয়া হবে! কী কী হবে এবার জানুন
ভ্রমণ ভাতা এবং বিনামূল্যে রেলভ্রমণ
সাংসদরা সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁদের দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও ভ্রমণের জন্য ভাতা পান। তাঁদের দায়িত্ব পালনের জন্য যেমন বিমান ভাড়া পান। তেমনই সড়কপথে যাতায়াত করলে প্রতিকিলোমিটারে ১৬ টাকা মাইলেজ ফি পান। আগে, সাংসদরা ট্রেনে ভ্রমণ করলে ট্রেনের টিকিটের ভাড়াও দেওয়া হত। এখন তাঁদের একটি বিনামূল্যে অহস্তান্তরযোগ্য পাস দেওয়া হয়। এই পাসের সাহায্যে সাংসদরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণি বা এক্সিকিউটিভ ক্লাসের যে কোনও ট্রেনে যে কোনও সময় ভ্রমণ করতে পারেন। যদি কোনও সাংসদ রেলের পাস না-পান, তাহলে তাঁরা বিনামূল্যে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। তাঁদের ভাড়া শোধ করে দেওয়া হয়। সাংসদদের বিনামূল্যে স্টিমারে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ারও আইন আছে। এই সুবিধা উপকূলীয়, দ্বীপ বা নদীমাতৃক জেলার সাংসদরাই পান।