দি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) পেনশন নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকায় তার পুরোনো সদস্যদের একাংশকে বেশি পেনশন গ্রহণের সুযোগ দিয়েছে। এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম বা ইপিএসের আওতায় এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নিয়ম মেনেই সব
সুপ্রিম কোর্ট কর্মচারীদের বর্ধিত পেনশনের ব্যাপারে জানানোর জন্য চার মাসের সময়সীমা দিয়েছিল। তার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ারর ১২ দিন আগে এই নির্দেশিকা জারি করল ইপিএফও। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর ওই সময়সীমার কথা ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালের এমপ্লিয়জ পেনশন (সংশোধনী) প্রকল্প বজায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল।
বর্তমানের পেনশন কাঠামো
দি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড মিসলেনিয়াস প্রভিশনস অ্যাক্ট, ১৯৫২-তে কোনও পেনশন প্রকল্পের কথা নেই। ইপিএফও দ্বারা পরিচালিত ইপিএস ব্যবস্থা ১৯৯৫ সালে চালু হয়। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন খাতে মূল বেতনের ১২ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়। একই পরিমাণ অর্থ নিয়োগকারী সংস্থাও জমা দেয়। এই দুই অংশের টাকা মিলিয়ে জমা পড়ে ইপিএফওতে। তার মধ্যে কর্মচারীর অর্থ যায় ইপিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ডে। আর, নিয়োগকর্তার ১২ শতাংশ অবদানের মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে বা ইপিএফে। আর, ৮.৩৩ শতাংশ অর্থ ইপিএস বা পেনশন প্রকল্পে জমা পড়ে। আর, ভারত সরকার একজন কর্মচারীর পেনশনের জন্য তাঁর মূল বেতনের ১.১৬ শতাংশ অর্থ জমা দেয়।
আরও পড়ুন- বিরাট সুখবর! এখন থেকে আরও বেশি পেনশন পাবেন গ্রাহকরা
বেড়েছে সুবিধা
ইপিএস চালু করার সময়, সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতন ছিল প্রতি মাসে বেসিক ৫,০০০ টাকা। এটি পরবর্তীতে হয়েছে প্রতিমাসে বেসিক ৬,৫০০ টাকা। আর, ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য বেতন বেড়ে হয়েছে প্রতিমাসে বেসিক ১৫,০০০ টাকা। এক্ষেত্রে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে পেনশন খাতে নিয়োগকর্তা প্রতিমাসে ৮.৩৩ শতাংশ বা ১,২৫০ টাকা জমা দেবে। নতুন নিয়মে যদি কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়েই রাজি হন, তবে তাঁরা পেনশনযোগ্য বেতনের বেশি পরিমাণ অর্থ পেনশনখাতে জমা রাখতে পারবেন।