Advertisment

Explained: ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণার অনুরোধ হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর, লাভটা কী?

এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৪১৮ জন মারা গিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Disaster relief

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, নয়াদিল্লিতে, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে নৈশভোজের আসরে। (ছবি: পিটিআই)

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু সেরাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া ধ্বংসযজ্ঞকে 'জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা' করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছেন। ১০ সেপ্টেম্বর সামাজিক মাধ্যম X-এ এক পোস্টে, সুখু বলেছেন, 'আমাদের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের পর প্রধানমন্ত্রী শ্রী @narendramodi জি-এর সাথে আমার কথোপকথন হয়েছে। সেই সময় হিমাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির পরের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।

Advertisment

ত্রাণ প্যাকেজের অনুরোধ

আমি একটি বিশেষ দুর্যোগ ত্রাণ প্যাকেজ চেয়েও অনুরোধ করেছি। জরুরি পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে এই বিপর্যয়কে একটি জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছি।' প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলো প্রায়ই কেন্দ্রের কাছে এই ধরনের অনুরোধ করে। বিশেষ ত্রাণ প্যাকেজের দাবিও করে থাকে। এই ধরনের দাবির ভিত্তি কী এবং কেন্দ্র কীভাবে সহায়তা দেবে, তা নির্ধারণ করা হয়।

কেন সাহায্য চাইছে হিমাচল প্রদেশ?

সুখু বলেছেন যে এই বর্ষায় বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনার কারণে হিমাচল প্রদেশে ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে বিপর্যয়কে একটি 'জাতীয় দুর্যোগ' ঘোষণা করা হোক। আর, তার ভিত্তিতে একটি বিশেষ দুর্যোগ প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের মতে, ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বিপর্যয়ে ৪১৮ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় ২৬৫ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৩৯ জন নিখোঁজ।

Himachal rains
ভারী বৃষ্টিতে হিমাচলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রাজ্যগুলি কীভাবে সহায়তা করে?

'জাতীয় বিপর্যয়' মোকাবিলার কোনও সরকারি বিভাগ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো ২০০৫ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে মোকাবিলা করা হয়। উদ্ভূত সমস্যাকে 'দুর্যোগ' বলা হয়। এই বিধি অনুযায়ী, 'কোনও এলাকায় একটি বিপর্যয়, দুর্ঘটনা অথবা কোনও গুরুতর ঘটনা, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে হলে তাকে সহায়তা দেওয়া হয়। এই সব দুর্যোগের জেরে জীবনহানি বা মানুষের দুর্ভোগ কিংবা ক্ষতি হলে বা সম্পত্তির ক্ষতি হলে অথবা পরিবেশের অবক্ষয় ঘটলে, সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন ক্ষতির মাত্রা যখন এলাকাবাসীর সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন এই সহায়তা দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে।'

এনডিএমএ এবং এসডিএমএএস

এই আইনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এবং সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের নেতৃত্বে রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এসডিএমএএস) গঠন করা হয়েছে। যাদের সাহায্যে জেলাস্তরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রে ভারতে একটি সমন্বিত দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। আইনটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হয়েছে। এই আইনের অধীনে বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়ন বা দল তৈরি করা হয়েছে। এই দলগুলো বিভিন্ন রাজ্যে ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ চালায়।

আরও পড়ুন- নির্বাচন স্বচ্ছ করতে ভিভিপ্যাট নিয়ে উঠল বিরাট দাবি, জবাবে কী জানাল কমিশন?

এনডিআরএফ কী?

২০০৫ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে জাতীয় দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলের (এনডিআরএফের) উল্লেখ রয়েছে। একইভাবে, এসডিআরএফগুলো রাজ্যের ভাণ্ডারে থাকা অর্থের সাহায্যে ঘোষিত বিপর্যয়ের মোকাবিলায় কাজ করে। এটাই হল দুর্যোগ মোকাবিলার প্রাথমিক তহবিল। এছাড়াও, 'জাতীয় বিপর্যয' ঘোষিত হলে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ রাজ্যগুলোকে মোট বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের ৭৫% অর্থ দেয়। আর, উত্তর-পূর্ব এবং হিমালয়ের রাজ্যগুলোতে ৯০% অর্থ দেয়।

rain Disaster Management Disaster Management Fund Himachal Pradesh
Advertisment