তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের শেষে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু পাঁচ বছরের শাসনকাল শুরুর আগে একটি অনাথআশ্রম পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনাথ ও অভিভাবকহীনদের দেখাশোনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর এই মনোভাব হিমাচল সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে। এই নীতি মেনেই হিমাচল প্রদেশ সম্প্রতি আইন পাস করেছে। যা অনাথ শিশুদের সরকারি কল্যাণের আইনি পরিধির আওতায় নিয়ে এসেছে।
বাজেট অধিবেশনে পাস করা 'সুখাশ্রয়' আইন কী?
হিমাচল প্রদেশ সুখাশ্রয় (রাজ্যের শিশুদের যত্ন, সুরক্ষা এবং স্ব-নির্ভরতা) আইন, ২০২৩ বলে যে অনাথ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা 'রাজ্যের সুসন্তান' হয়ে উঠবে। রাজ্য সরকার ১৮-২৭ বছর বয়সের মধ্যে তাদের আর্থিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দেবে। আইন অনুযায়ী এই ধরনের শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদেরকে সমাজের মূলধারার সক্রিয় সদস্য করে তুলতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বিকাশের ব্যবস্থা এবং কোচিং দেওয়া হবে। বিলটি উপস্থাপনের সময় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছিলেন যে অনাথদের অন্য লোকেদের ওপর নির্ভর করতে হবে না। রাজ্য সরকার নিজেই তাঁদের পিতামাতার দায়িত্ব পালন করবে।
সুবিধাভোগী কারা?
এই আইনের সুবিধা সেই সব অনাথরা পাবেন, যাঁদের তাঁদের জৈবিক পিতামাতা ত্যাগ করেছেন। অথবা, যাঁদে পিতামাতা তাঁদের যত্ন নিতে অক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। সামাজিক, মানসিক, শারীরিক কারণের জন্য অভিভাবক বা পিতামাতার দ্বারা পরিত্যক্ত শিশুরাও এই আইনের সুবিধা পাবে। এই আইনের সুবিধাগুলো 'শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন' মেটাবে। যেমন, যাদের বাড়ি নেই। শ্রম আইন লঙ্ঘন করে কাজ করছেন। ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে সব শিশুদের। অথবা যাদের অভিভাবকরা শিশুদের ওপর হুমকি, নির্যাতন বা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, সেই সব শিশুদেরও যত্ন রাজ্য সরকার নেবে।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের আলাদা শ্রেণির স্বীকৃতি দেওয়ার, তাদের অধিকার রক্ষার সময় এসেছে: মণীশ তিওয়ারি
আরও যাঁরা সুবিধা পাবেন
পাশাপাশি, আইনি বয়সের আগে বিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সব শিশুদের, যারা অপরাধের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। অথবা মাদকের অপব্যবহারের শিকার হয়েছে যে সব শিশুরা, তারাও এই আইনের আওতায় সুবিধা পাবে। এই আইন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৬,০০০ এরও বেশি জনকে সুবিধাপ্রাপক হিসেবে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে।