National Survey: শুধু খাদ্যশস্য (চাল, গম, ইত্যাদি) ছাড়াও আরও ভাল পুষ্টির জন্য কত টাকা ব্যয় করা হয়, সেটা জানা জরুরি। ১৯৯৯-২০০০ সালে গ্রামীণ পরিবারের মোট খরচের প্রায় ২২ শতাংশ শস্যের ওপর ব্যয় হত। সেটা ২০২২-২৩ সালে ৪.৯১ শতাংশে নেমে এসেছে।
Household Consumption Expenditure Survey: গ্রামপ্রধান ভারত। আর, সেই গ্রামের পরিস্থিতিই বুঝিয়ে দেয়, গোটা রাজ্যের অবস্থাটা ঠিক কী। আর, এসবের যাবতীয় হিসেব রাখে সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে- বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর গ্রামের অবস্থা বেশ খারাপ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তুলনায় তাকে নিম্নমানেরই বলা যেতে পারে।
Advertisment
খাবারের খরচের হিসেব কোনও মানুষ যদি তাঁর খাবারের খরচ কমিয়ে দেন, তবে তিনি সেই অর্থ অন্য ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারেন। অন্য ক্ষেত্র বলতে- পোশাক, জুতো, বাসস্থান, যানবাহন, শিক্ষা চিকিৎসা, বিনোদনের খরচ। ১৯৯৯-২০০০ (জাতীয় ৫৫তম নমুনা সমীক্ষা) এবং ২০২২-২৩ সাল- এই সময়ের মধ্যে তুলনায় দেখা গিয়েছে, শহর এবং গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই পরিবারগুলোর খাবারের পিছনে ব্যয়ের খরচ ক্রমশ কমেছে। এতটাই কমেছে যে প্রথমবারের মত গ্রামীণ ভারতে খাদ্যের পিছনে ব্যয় ৫০ শতাংশের চেয়েও কমে গিয়েছে। আর, শহরাঞ্চলের খাদ্যের পিছনে ব্যয় ৪০ শতাংশের চেয়েও কমে গিয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে গ্রামীণ ভারতে খাদ্যের পিছনে ব্যয় ছিল ৫৯.৪ শতাংশের মত। সেটাই পরপর কমে ২০২২-২৩ সালে হয়েছে- ৪৬.৩৮ শতাংশ। আর শহরের মাথাপিছু মাসিক খাওয়া খরচের গড় (এমপিসিই বা মান্থলি পার ক্যাপিটা কনজাম্পশন এক্সপেনডিচার) ১৯৯৯-২০০০ সালে ছিল ৪৮.০৬ শতাংশ। সেটাও ক্রমশ কমে হয়েছে ৩৯.১৭ শতাংশ।
ভারতীয়রা বর্তমানে কী খাচ্ছেন? শুধু খাদ্যশস্য (চাল, গম, ইত্যাদি) ছাড়াও আরও ভাল পুষ্টির জন্য কত টাকা ব্যয় করা হয়, সেটা জানা জরুরি। ১৯৯৯-২০০০ সালে গ্রামীণ পরিবারের মোট খরচের প্রায় ২২ শতাংশ শস্যের ওপর ব্যয় হত। সেটা ২০২২-২৩ সালে ৪.৯১ শতাংশে নেমে এসেছে। শহুরে পরিবারগুলো সেই সময় শস্যের পিছনে ব্যয় করত মোটা খাওয়া খরচের ১২ শতাংশ। সেটা ২০২২-২৩ সালে কমে হয়েছে ৩.৬৪ শতাংশ। ডিম, মাছ, মাংস, ফল ও শাকসবজির মত উচ্চ-মূল্যের/পুষ্টিকর খাদ্যের পিছনে গত দুই দশকে গ্রামীণ পরিবারগুলো শহুরে পরিবারগুলোর তুলনায় বেশি ব্যয় করেছে। কতটা বেশি? ১৯৯৯-২০০০ সালে গ্রামীণ পরিবারগুলো এক্ষেত্রে ব্যয় করেছিল খাওয়া খরচের ১১.২১ শতাংশ। আর, শহরে পরিবারগুলো ব্যয় করেছিল ১০.৬৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালে গ্রামীণ পরিবারগুলো এক্ষেত্রে ব্যয় ছিল ১৪ শতাংশের বেশি। আর, শহুরে পরিবারগুলোর ব্যয় ১১.১৭ শতাংশ।