স্যাবিজাবুলিন। ক্যান্সারের ওষুধ। কাজে লাগছে কোভিডে। একটি গবেষণার তিন নম্বর ধাপের ফলাফল বলছে, হাসপাতালে ভর্তি মাঝারি থেকে চরম কোভিডে ভোগা রোগীদের এই ওষুধ দিলে একের চার ভাগ মৃত্যুর হার কমে যাচ্ছে। এই গবেষণার অর্থ এবং ব্যবস্থাপনায় ছিল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভেরু। বুধবার এটি প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ।
গবেষণায় কাদের উপর করা হয়েছে?
গবেষণার জন্য যে সব কোভিড আক্রান্তদের বাছা হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কয়েকটি মাপকাঠি দেখা হয়েছে। যেমন রোগীদের বয়স ছিল অন্তত ১৮ বছর। কোনও ল্যাবের রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ। বেসলাইন অক্সিজেন স্যাচুরেশনের লেভেল ছিল ঘরের মধ্যে ৯৪ কিংবা তার নীচে। কোমর্বিডিটি ছিল। যেমন অ্যাজমা কিংবা ক্রনিক ফুসফুসের রোগ, বা ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চরক্তচাপ, না হলে প্রবল ওবেসিটি। না হলে ৬৫ বছর বয়স কিংবা তার বেশি, কোনও একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন বা দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন অথবা রোগপ্রতিরোধক্ষমতা একেবারে তলানিতে। নয়তো নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন বা হাইফ্লো অক্সিজেন অথবা ইনটিউবেশন বা মেকানিকাল ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন- জনসনের ইস্তফা এক রোমহর্ষক কাহিনি, রয়েছে বিড়াল-দর্শনও! কী ভাবে?
এই ওষুধ কী করল?
আইসিইউতে থাকার দিনসংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে এই ওষুধ, দেখা গিয়েছে গবেষণায়। মোটামুটি ৪৩ শতাংশ কমিয়েছে সেইটা। দেখা গিয়েছে যে সব রোগীকে স্যাবিজাবুলিন দেওয়া হয়েছে, আইসিইউতে তাঁরা ছিলেন ১৭.৪ দিন, আর যাঁদের দেওয়া হয়নি তাঁরা ছিলেন ৩০.৮ দিন। ভেন্টিলেশনে থাকার সময়ও কমিয়েছে এটি। যা কমেছে অর্ধেক ভাগ। দেখা গিয়েছে স্যাবিজাবুলিন দেওয়া রোগীরা ভেন্টিলেশনে থেকেছেন ১৪.৪ দিন, তুলনায় যাঁদের এই ওষুধ দেওয়া হয়নি তাঁরা ২৮.৫ দিন থেকেছেন ভেন্টিলেশনে।
চার দিকে যখন কোভিডের চড়চড়ানি বৃদ্ধি, তখন এই ওষুধটি আশার চড়া আলো দেখাচ্ছে, বলাই যায়।
Read full story in English