Advertisment

Explained: বিশেষ অধিবেশনে উঠবে কমিশনারদের নিয়োগ বিল! কেন তার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা?

উল্লেখযোগ্যভাবে, বিলটি সেই সাংবিধানিক বিধানগুলোকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে যা নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান মর্যাদা দিয়েছে। এই বিল শীর্ষ আদালতে 'অনুপ বারানওয়াল বনাম ভারত সরকার' রায়ের পূর্বাবস্থায় কমিশনকে ফেরাতে চায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Election Commission

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর আলোচনার জন্য তালিকাভুক্ত এই বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের বেতন, ভাতা এবং চাকরির শর্তাবলী সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে এটি একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান হয়। (প্রতীকী/এক্সপ্রেস ছবি)

আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি এবং অফিসের শর্তাবলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি বিল নিয়ে আলোচনা হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিযুক্তি, পরিষেবার শর্তাবলি এবং অফিসের মেয়াদ) বিল, ২০২৩ গত ১০ আগস্ট রাজ্যসভায় পাস করানো হয়েছিল। এবার এটি অবশেষে পাসের জন্য লোকসভায় পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিলটি সেই সাংবিধানিক বিধানগুলোকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে যা নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান মর্যাদা দিয়েছে। এই বিল শীর্ষ আদালতে 'অনুপ বারানওয়াল বনাম ভারত সরকার' রায়ের পূর্বাবস্থায় কমিশনকে ফেরাতে চায়।

Advertisment

বিলটি কি বলেছে?

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আলোচনার জন্য তালিকাভুক্ত এই বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের বেতন, ভাতা এবং চাকরির শর্তাবলি সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে এটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান হয়। এখনও পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশনাররা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান ছিলেন, নির্বাচন কমিশন আইন, ১৯৯১ সালের অধীনে। তবে, বিলটি পাসের ফলে ১৯৯১ সালের আইন বাতিল হয়ে যাবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নির্ধারিত বেতন প্রায় একই। তবে, শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা অবসর পরবর্তী অতিরিক্ত সুবিধার অধিকারী। যার মধ্যে গৃহকর্মী এবং চালকদের আজীবন ব্যবস্থাও রয়েছে।

আরও পড়ুন- কেউ গুজব ছড়াচ্ছে বা মিথ্যা রটাচ্ছে? সতর্ক করুন, কারণ, কী হতে পারে জানেন?

কমিশনারদের আমলা বানানোর চেষ্টা

কিন্তু, সমস্যা হল যে এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনারদের আমলাতন্ত্রের আওতায় আনতে চায়। যা তাঁদের কর্তৃত্ব ও স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক কাজ হল নির্বাচনের তত্ত্বাবধান, দিকনির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা। যা, ৩২৪ ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত। তবে, নির্বাচন কমিশনার, যদি এখন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদার সমতুল্য হন, তাহলে নির্বাচনের এই নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরিত হতে পারে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে শায়েস্তা করার চেষ্টা, সেক্ষেত্রে মার খেতে পারে।

Lok Sabha election commission Oppositions Parliament Session
Advertisment