How CBI case against Kejriwal different from the ED: আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে সিবিআইও। দিল্লি মদ কেলেঙ্কারি ইতিমধ্যে ইডির তদন্তাধীন। এবার, সিবিআইও তদন্ত করছে। সিবিআই কেজরিওয়ালকে আটকানোর জন্য প্রমাণ সংগ্রহের আশা করছে। কারণ, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
সিবিআই হেফাজতে কেজরিওয়াল
আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে, বুধবার (২৫ জুন) দিল্লির এক আদালত কেজরিওয়ালকে তিন দিনের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) হেফাজত দিয়েছে। সিবিআই, এর আগের দিন, আনুষ্ঠানিকভাবে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল। আর, দুর্নীতি মামলায় আপ (AAP) জাতীয় আহ্বায়কের পাঁচ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াত, কেজরিওয়ালকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারের ব্যাপারে সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছিলেন।
সিবিআইয়ের গ্রেফতারির অর্থ কী?
প্রশ্ন হল, সিবিআইয়ের গ্রেফতারের অর্থ কী? আর, কীভাবেই বা তা কেজরিওয়ালের মুক্তিকে প্রভাবিত করছে? আসলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এই মামলায় তহবিল তছরুপের তদন্ত করছে। আর, সিবিআই একই মামলায় সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের তদন্ত করছে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গত মার্চে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ ছিল, তিনি এই কলঙ্কিত তহবিল ব্যবহার করেছেন। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) ধারা ৩, অনুযায়ী আপ সুপ্রিমোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তহবিল তছরুপ ভিন্ন অপরাধ
সিবিআই ২০২২ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (পিসি অ্যাক্ট)-এর অধীনে এই মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ নথিভুক্ত করেছিল। তবে, তাদের অভিযুক্তের তালিকায় কেজরিওয়ালের নাম ছিল না। চলতি মার্চে, যখন ইডি কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়েছিল, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু দিল্লি আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, 'পিএমএলএর অধীনে অভিযুক্ত হওয়ার জন্য আগে থেকে অপরাধে অভিযুক্ত হতে হবে না। সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত হলেও হবে।' মূলত, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের যুক্তি হল যে তহবিল তছরুপ সম্পূর্ণ ভিন্ন অপরাধ। এটা পূর্বনির্ধারিত অপরাধের অস্তিত্বের ওপর নির্ভর করে না।
আরও পড়ুন- লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর মতই থাকেন ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’ও, জানেন কি সেকথা, কী ভূমিকা থাকে তাঁর?
কেজরিওয়ালকে তলব
এপ্রিল মাসে, সিবিআই কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। সেই সময় তাঁর আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে কেজরিওয়ালকে একজন সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত হিসেবে ডাকা হয়নি। কথাটা মিথ্যে নয়। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে সিবিআই বা ইডি কেউই অভিযুক্ত করেনি। তাহলে এবার কেন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হল? আসলে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সন্দেহ ছাড়া কোনও তথ্যই তদন্তকারীদের কাছে নেই। তাই তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। আর, কেজরিওয়ালও পালটা জামিনের আবেদন করেছেন। একজন আসামি দুর্নীতির মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। জামিন অযোগ্য অপরাধে জামিন দেওয়া বিচারকের বিবেচনার বিষয়।