/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/Story_2.jpg)
বুখারেস্ট থেকে দেশে ফিরলেন ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা।
আমেরিকা এবং তার সহযোগী বহু দেশ ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পালটা রাশিয়াও ওই সব দেশের বিমান তাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচল করতে পারবে না-বলে জানিয়ে দিয়েছে। এর ফলে ওই সব দেশগুলো থেকে ভারতে যাতায়াত আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘুরপথে আসতে হচ্ছে বিমানগুলোকে। অথবা, যাত্রীদের একাধিক জায়গা বদল করে ভারত থেকে ওই সব দেশে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এর ফলে ভাড়া এবং সময় দুটোই বেশি লাগছে। বিমান চলাচলের ওয়েবসাইটগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, বিমান ছাড়া এবং পৌঁছনোর সময় ঠিক কতটা বদলে গিয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক-দিল্লি, শিকাগো-দিল্লি, ভ্যাঙ্কুবার-দিল্লি এবং হেলসিঙ্কি-দিল্লির মধ্যে বিমান চলাচলে ইউক্রেন যুদ্ধ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। বিমানগুলো যখন পৌঁছনোর কথা ছিল, তার চেয়ে দেরিতে পৌঁছচ্ছে। আগের চেয়ে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বেশি সময় ওই বিমানগুলোর লাগছে।
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে রাশিয়া ছাড় দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাই পশ্চিমের দেশগুলোয় রাশিয়ার আকাশসীমা ব্যবহার করেই যাতায়াত করছে। তাদের সময় আগের মতোই লাগছে। ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান 'ম্রিয়া' বা 'স্বপ্ন'কে ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়ার সেনা। রাশিয়ার হামলা শুরুর পরই বিভিন্ন দেশ তাদের বিমানকে ইউক্রেনের আকাশসীমা এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইউক্রেন থেকে অন্যান্য দেশে বিমান চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর।
আরও পড়ুন- সাধারণ নাগরিকদের বেরোতে সুযোগ, ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
ভারত থেকে যে বিমানগুলো আটকে পড়া পড়ুয়াদের আনতে যাচ্ছে, সেগুলোও ইউক্রেনের আকাশসীমায় প্রবেশ করছে না। অবতরণ করছে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে বেশ দূরে বুখারেস্ট এবং বুদাপেস্টে। আগে আমেরিকা এবং কানাডার বিভিন্ন এলাকা থেকে দিল্লিতে পৌঁছতে সময় লাগত ১৩ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে। ফিনল্যান্ড থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগত ৬ ঘণ্টার বেশি। সেটাও এখন তিন ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছচ্ছে। আর, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগছে ৩৭ ঘণ্টারও বেশি।
Read story in English