বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) নীতির প্রধান উপকরণ, রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ঋণ ও আমানতের হার অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অর্থাৎ বাড়ি, যানবাহন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের ঋণগ্রহীতাদের প্রদেয় মাসিক কিস্তি (ইএমআই) আপাতত বদলাচ্ছে না।
বড় প্রভাব পড়বে
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের মুদ্রানীতি কমিটির এই সিদ্ধান্ত শিল্পক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে। বিশেষ করে আবাসন ক্ষেত্রে তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া রিজার্ভ ব্যাংকের এই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিজার্ভ ব্যাংক কেন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখছে?
রেপো রেটের বৃদ্ধিতে বিরতি— অর্থাৎ যে সুদের হারে আরবিআই তাদের স্বল্পমেয়াদি তহবিলের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে। তিনমাস অন্তর এই রেট স্থির করে আরবিআই। কখনও আবার বিশেষ ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী সময়েও রেপো রেট স্থির করে থাকে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরবিআই ২০২২ সালের মে মাসে নতুন করে রেপো রেট বাড়ানো শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এপ্রিলের নীতিতেই অক্ষুণ্ণ থাকলেন রিজার্ভ ব্যাংকের মুদ্রা নীতি কমিটির সদস্যরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট বৃদ্ধির হারকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
আরও পড়ুন- বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ অঞ্চল, তা ঘিরে কেন চরমে ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্ব?
ঋণ ও আমানতের হারের কী হবে?
যেহেতু আরবিআই জুনের নীতিতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে, রেপো রেটের সাথে যুক্ত এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক লেন্ডিং রেট (EBLR)ও বাড়বে না। এটি ঋণগ্রহীতাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। কারণ তাঁদের সমান মাসিক কিস্তি (ইএমআই) বাড়বে না। উল্লেখযোগ্যভাবে, EBLR- এর ৮১ শতাংশ বেঞ্চমার্ক রেপো রেটের সঙ্গে যুক্ত।
জিডিপি এবং মুদ্রাস্ফীতির ওপর কী জানিয়েছে?
বৃহস্পতিবার, রিজার্ভ ব্যাংকের নীতি কমিটি বলেছে যে খুচরো মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের ওপরে ৫.১ শতাংশ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্বে অনুমান করা হয়েছিল যে এই খুচরো মুল্যস্ফীতি ৫.২ শতাংশ থেকে কম থাকবে। অর্থাৎ, মুদ্রাস্ফীতি কমার লক্ষণ স্পষ্ট। এর পাশাপাশি, ২০২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি আনুমানিক অপরিবর্তিত ৬.৫ শতাংশই ধরছে মুদ্রানীতি কমিটি।