Advertisment

মস্তিষ্কেও করোনা হানা, ফুসফুসে ছিদ্র তৈরি করছে ভাইরাস

দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কের কোষপ্রাচীরকে ভেঙে ঢুকে পড়ছে এই ভাইরাস এবং একাধিক ভাইরাস তৈরি করে ফেলছে সেখানে। এরপর কোষের মধ্যস্থ সমস্ত অক্সিজেন খেয়ে ফেলছে সে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতে বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার জন। যা কি না গত সপ্তাহের ৯০ হাজারের আক্রান্তের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। বেড়েছে মৃত্যুমিছিলও। তবে আশার কথা একটাই তা হল সুস্থতার হারের বৃদ্ধি। কিন্তু চিকিৎসকমহল জানাচ্ছেন করোনা কিন্তু এবারে শুধু আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না। শরীরে রেখে যাচ্ছে একাধিক প্রদাহ। আগে এই ভাইরাস শুধু ফুসফুসে আক্রমণ করলেও এবার কিন্তু মস্তিষ্কেও হানা দিচ্ছে এই ভাইরাস। বর্তমানে এই বিষয়টিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisment

এদিকে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ফের স্বমহিমায় কোভিড। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বিশ্বে ভারতই কোনও দেশ যেখানে একদিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজারেরও বেশি। এরই মধ্যে পুন:সংক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে ভারতে।

কীভাবে মস্তিষ্কে আক্রমণ চালাচ্ছে করোনা?

সম্প্রতি যে পরীক্ষানিরীক্ষা চলেছে করোনা রোগীদের দেহে সেখানে দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কের কোষপ্রাচীরকে ভেঙে ঢুকে পড়ছে এই ভাইরাস এবং একাধিক ভাইরাস তৈরি করে ফেলছে সেখানে। এরপর কোষের মধ্যস্থ সমস্ত অক্সিজেন খেয়ে ফেলছে সে। যার জেরে অক্সিজেনের অভাবেই মারা পড়ছে মস্তিষ্কের একাধিক কোষ। সমস্যা একটাই শারীরবিজ্ঞান জানায় মস্তিষ্কের কোষ, নিউরোন এরা একবার নষ্ট হলে আর পুনরায় তৈরি হয় না। অতএব ক্ষতি যা হবে তা ক্ষতি হিসেবেই থেকে যাবে।

publive-image

আরও পড়ুন, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধে আরও দীর্ঘ হতে পারে করোনা লড়াই?

তবে এটা ঠিক যে করোনা আক্রান্ত সকলের মস্তিষ্কেই যে এই ভাইরাস হানা দিচ্ছে তা নয়। ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট আকিকো ইওয়াসাকি বলেন, "যদি মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয় তাহলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।" এমনকি বিভিন্ন নিউরোলজিকাল সমস্যাও হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একাধিক নার্ভ। এক গবেষকের কথায়, "মস্তিষ্কে নি:শব্দে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই ভাইরাস।"

ফুসফুসের কোষের মত মস্তিষ্কের কোষপ্রাচীরেও রয়েছে অ্যাসিটাইল কোলিন-২ রিসেপ্টর। অতএব বুঝতেই পারা যাচ্ছে যে ফুসফুসের পাশাপাশি কেন মস্তিষ্কেও বাসা বাঁধতে পারছে এই ভাইরাস।

ফুসফুসে কী কী ক্ষতি করছে?

ফুসফুসে প্রদাহ কিংবা রক্তজালক-এর মধ্যে ফাটল তৈরি করছে। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম- নিউমোথোরাক্স। ফুসফুসে একবার প্রদাহ তৈরি হলে তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং তৈরি হতে থাকে একাধিক ছিদ্র। মূলত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19
Advertisment