ভারতের ৩,৬৯৩টি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধের মধ্যে ৫০টির খোঁজ মিলছে না। এমনটাই জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। 'ভারতে অনুপস্থিত স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতিস্তম্ভের সুরক্ষা' শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের অংশ হিসাবে ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রক পরিবহন, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কীভাবে একটি স্মৃতিস্তম্ভ 'নিখোঁজ' হয়? এর মানে কী এবং এখন কী হবে? চলুন দেখে নিই।
কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধ কোনগুলো?
প্রাচীন স্মৃতিসৌধ, প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্র এবং অবশেষ আইনি (AMASR আইন) ভাবে জাতীয়স্তরে গুরুত্ব রয়েছে, এমন সৌধ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকার সংরক্ষণ করে। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্থা বা এএসআই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন। এই সংস্থা কেন্দ্রীয় আইনের অধীনে মন্দির, কবরস্থান, শিলালিপি, সমাধি, দুর্গ, প্রাসাদ, ধাপ-কূপ, শিলাকাটা গুহা, কামান এবং মাইলফলকের মত বস্তু-সহ শতবর্ষেরও বেশি পুরোনো সৌধ এবং স্থানগুলোকে রক্ষা করে। যে সব স্থান ঐতিহাসিক দিক থেকে তাত্পর্যপূর্ণ, সেগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সংস্থা
ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সংস্থা ১৮৬১ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম তৈরি করেছিলেন। কারণ, তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও সংরক্ষণের জন্য একটি স্থায়ী সংস্থা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। কিন্তু তহবিল সংকটের জন্য ১৯ শতকে সংস্থাটি তেমন একট কার্যকর ছিল না। স্বাধীনতার আগের দশকগুলোয় এএসআই বেশ কার্যকর হয়ে ওঠে। ১৯২০, ৩০ এবং ৫০-এর দশকে স্মৃতিসৌধগুলো সুরক্ষায় বিশেষ যত্ন নেওয়া শুরু করে এএসআই।
আরও পড়ুন- তালিবান সন্ত্রাসের প্রত্যাবর্তন, পরস্পরবিরোধী নীতিতে ডুবছে পাকিস্তান?
কীভাবে স্মৃতিসৌধ উধাও হয়ে যায়?
বিভিন্ন সময় নানা নির্মাণকাজ হয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অসাধু চক্রের হাত। কখনও জলাধার নির্মাণ, কখনও আবার অন্য কোনও নির্মাণকাজের জেরে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে বহু স্মৃতিসৌধ। তার পাশাপাশি, অসাধু চক্রের লোকজন সেই সব নির্মাণকাজের উপাদান চুরি করেছে। কারণ, প্রশ্নতাত্ত্বিক উপাদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই সেগুলো সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। যা আসলে স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে ওঠে। আর, এই সব কারণেই হারিয়ে গিয়েছে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। এমনটাই বলছে সংস্কৃতি মন্ত্রকের রিপোর্ট। একইসঙ্গে, এই রিপোর্ট জানিয়েছে যে দুর্গমতার কারণে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের কাছে পৌঁছতেই পারেননি এএসআই কর্মীরা।
Read full story in English