জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন 'চার্জড ডি'অ্যাফেয়ারস' পদে এক নতুন নাম ঠিক করেছে। যতক্ষণ না ভারতে পূর্ণকালীন রাষ্ট্রদূত ঠিক হচ্ছে তিনিই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন। যাঁর নাম ঠিক হয়েছে, তিনি প্রবীণ কূটনীতিবিদ। বয়স ৭৪ বছর। নাম এলিজাবেথ জোনস। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে গত ২১ মাসে তিনি ষষ্ঠ অন্তর্বর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
পূর্ণকালীন রাষ্ট্রদূত নেই
গত ২১ মাসে ভারতে কোনও পূর্ণকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত নেই। এতে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য পূর্ণকালীন রাষ্ট্রদূত কাউকে না-করলে 'চার্জড ডি'অ্যাফেয়ারস' নিয়োগ করে থাকে। এবার যেমন এলিজাবেথ জোনসকে দায়িত্ব নিতে বলেছে মার্কিন কংগ্রেস।
শেষ ছিলেন ল্যাসিনা
মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, 'এলিজাবেথ জোনস অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ভারতে জোনস আমাদের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের দলে যোগ দেবেন। আমরা সরকার ও জনগণের মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটাচ্ছি। এমন অংশীদারিত্ব, যাকে সচিব (অ্যান্টনি) ব্লিঙ্কেন বিশ্বের পরিণতি বলে বর্ণনা করেছেন।' বর্তমানে, প্যাট্রিসিয়া এ ল্যাসিনা নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের 'চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স'। তিনি ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- যোগীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ, সমাজবাদী নেতা আজম খানের তিন বছর কারাদণ্ড
জাস্টার ফিরে যান
জো বাইডেনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেই সময় ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন কেনেথ জাস্টার। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি, বাইডেন ক্ষমতায় বসতেই জাস্টার ফিরে যান। তারপর থেকে নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ক্ষমতায় বসেছেন। সেই তালিকাটা নেহাত কম লম্বা নয়, পাঁচ জন- ডোনাল্ড হেফলিন, এডগার্ড কাগান, ড্যানিয়েল বেনেট স্মিথ, অতুল কেশপ ও প্যাট্রিসিয়া ল্যাসিনা। কথা ছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেত্তি এই দায়িত্ব পাবেন। কিন্ত, সেনেট অনুমোদন না-করায় তাঁর রাষ্ট্রদূত হওয়া আটকে গেছে।
গারসেত্তির নাম আটকে গিয়েছে
২০২১ সালের জুলাইয়ে গারসেত্তির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁর মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে আটকে দেন রিপাবলিকান সিনেটর চক গ্রাসলি। তাঁর অভিযোগ, একজন প্রবীণ কর্মীর সঙ্গে গারসেত্তি দুর্ব্যবহার করেছিলেন। যদিও পরে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু, ডেমোক্র্যাটরা আর গারসেত্তির নাম সিনেটে পাঠাননি। কারণ, সিনেটে ডেমোক্র্যাটরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
Read full story in English