Kalam-Vajpayee: পোখরানে এপিজে আবদুল কালামের সঙ্গে বাজপেয়ী। (ছবি- এক্সপ্রেস আর্কাইভ)
How India flared under the Vajpayee govt: পোখরানে দ্বিতীয় পরমাণু পরীক্ষা থেকে কার্গিল যুদ্ধ অথবা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় ভারত ছিল ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ। অটলবিহারী বাজপেয়ী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স জোটের নেতৃত্বে থাকাকালীন পরপর ছয় বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত এক পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কার্গিলে পাকিস্তানের হানাদারদের পরাজিত করে। একইসঙ্গে, এই সরকারের জমানায় গুজরাটে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল।
Advertisment
বারবার লোকসভা নির্বাচন কংগ্রেস ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর পর, ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিজেপিকে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার সুযোগ দেয়। এই বিজেপি সরকার সংসদে সামান্য ব্যবধানে মাত্র এক বছরের মধ্যে পরাজিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে ফের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনার ঘনঘটা ১৯৯৮-২০০৪ সাল, ভারতীয় রাজনীতিতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বছর ছিল। এই সময় ভারত পোখরানে দ্বিতীয় পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করার কয়েক মাসের মধ্যে কার্গিলে যুদ্ধ হয়। হিমালয়ের কোলে ওই লড়াইয়ে ভারত জয়ী হয়। এই সময় সংসদে জঙ্গিরা হানা দিয়েছিল। গুজরাটে ২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল।
Kargil War-Atal Bihari Vajpayee: পোখরানে পরমাণু পরীক্ষা থেকে কার্গিলের লড়াই, গুজরাট দাঙ্গা- বাজপেয়ী জমানা ছিল ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ। (ছবি- এক্সপ্রেস আর্কাইভ)
Advertisment
১৯৯৮ সালের নির্বাচন ১৯৯৭ সালের আগস্টে কলকাতায় কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ সভায়, সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসে যোগ দেন। নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী আইকে গুজরাল পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই সময় নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এই 'কঠিন' সময়ে সোনিয়া গান্ধীকে দলের হয়ে প্রচার করার অনুরোধ করেছিল।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে সনিয়া সনিয়া গান্ধী তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে প্রায় ১৩০টি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করেছিলেন। ১৯৯১ সালের মে মাসে জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছিল বলে সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন। ১৯৯৮ সালের ১৪ মার্চ, নির্বাচনের পরপরই কংগ্রেস সীতারাম কেশরীকে তার সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করে। আর, সনিয়া গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাজপেয়ীর কীর্তি ক্ষমতায় আসার দুই মাস পর, বাজপেয়ীর সরকার রাজস্থানের পোখরানের মরুভূমিতে পাঁচটি সফল ভূগর্ভস্থ পরমাণু পরীক্ষা চালায়। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে, বাজপেয়ী পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাস যাত্রা করেন। ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, লাহোর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।