জার্মানি তার লেপার্ড ২ ট্যাংকগুলোকে ইউক্রেনে পাঠানোর অনুমতি দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইউক্রেনের মিত্রদের বৈঠক হয়েছে। কোনওরকম ঐকমত্য ছাড়াই শেষ হয়েছে বৈঠক। অস্টিন বৃহস্পতিবারই বার্লিনে তাঁর সদ্য জার্মানির প্রতিরক্ষা সচিব পদে আসীন বরিস পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আলোচ্য বিষয়
আলোচ্য বিষয় ছিল, জার্মানি-সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে ইউক্রেনে লেপার্ড ২ ট্যাংক পাঠানো। পাশাপাশি, জার্মানি যাতে ইউক্রেনকে আলাদাভাবে কিছু সাহায্য করে, এটাও ছিল আলোচ্যসূচিতে। এখানে লেপার্ড ২ ট্যাংকের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ এবং কীভাবে তারা ইউক্রেনের জন্য মূল্যবান হতে পারে, তা ব্যাখ্যা করা হল।
লেপার্ড ২ ট্যাংক কী?
লেপার্ড ২ ট্যাংক হল বিশ্বের অন্যতম প্রথমসারির যুদ্ধ ট্যাংক। যা জার্মান সেনাবাহিনী এবং ডজনেরও বেশি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে। পাশাপাশি, কানাডা, ইন্দোনেশিয়ার মত ইউরোপীয় নয়, এমন দেশগুলোও ব্যবহার করে এই ট্যাংক। আফগানিস্তান, কসোভো এবং সিরিয়ার লড়াইয়ে এই ট্যাংক ব্যবহার দেখেছে বিশ্ববাসী।
এর বিশেষত্ব
ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এই যুদ্ধ ট্যাংকে নাইট-ভিশন ইকুইপমেন্ট এবং একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে। এর সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব মাপা যায়। রুক্ষ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এই ট্যাংক চলমান লক্ষ্যের ওপর ভালোভাবে নজরদারি করতে সাহায্য করে। এই ট্যাংকের এরকম আরও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডিজাইনও বিভিন্নরকম হয়।
আরও পড়ুন- পরীক্ষার নামে চূড়ান্ত হয়রানি, এখান থেকে সেখান, পুলিশ ভ্যানেই ১২ ঘণ্টার অপেক্ষা গণধর্ষিতার
কীভাবে এই ট্যাংক ইউক্রেনকে সাহায্য করবে?
এতদিন পর্যন্ত ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়েই যুদ্ধে সোভিয়েত যুগের ট্যাংক ব্যবহার করেছে। সেখানে লেপার্ড ২-এর মত আধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক ব্যবহার হলে, তা ইউক্রেনকে যথেষ্ট সাহায্য করবে। ইউক্রেন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মিত্রদের থেকে সামরিক সহায়তা চায়। দীর্ঘদিন ধরেই খোদ জেলেনস্কি তাঁর মিত্র দেশগুলোর কাছে ট্যাংক দিয়ে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন। তার মধ্যে রয়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা রোখার ব্যবস্থা। দূরপাল্লার কামান থেকে রক্ষা করার মত যুদ্ধবিমানও চাইছেন জেলেনস্কি।
এই পরিস্থিতিতে লেপার্ড ২ পেলে রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেনের লাভই হবে। রাশিয়া গ্রীষ্মকালে পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশের দুটি শহর দখল করেছিল। ইউক্রেন তার হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে চায়। শীতের শেষে বসন্তে তাই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বড় লড়াই হতে পারে। তবে, সবটাই নির্ভর করবে ইউক্রেনের কাছে কত অস্ত্র পৌঁছচ্ছে বা কী ধরনের উন্নতমানের অস্ত্র পৌঁছচ্ছে, তার ওপর।
Read full story in English