Aryan Khan: ফের খবরের শিরোনামে মুম্বইয়ের অভিজাতদের রেভ পার্টি। চলতি ভাষায় যাকে মাদক সেবন পার্টি বলে। শনিবার মুম্বই উপকূলের এক বিলাসবহুল প্রমোদতরীর রেভ পার্টি থেকে ৮ জনকে আটক করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে একাধিক বলিউড তারকাদের আবাসনে এই এনসিবির অভিযান খবরের শিরোনামে এসেছিল। এবার সেই এনসিবির হাতেই আটক শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। যে আট জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে এনসিবি, তাঁদের মধ্যে আরিয়ান ছাড়াও দু’জন তরুণী রয়েছেন-- মুনমুন ধামেচা, নূপুর সারিকা, ইসমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকর, গোমিত চোপড়া এবং আরবাজ মার্চেন্ট।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আটকদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের থেকে বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোন। এই রেভ পার্টি-কাণ্ডের তদন্তে গভীরে যেতেই কোমর বাঁধছে এনসিবি। মাদক সরবারহকারীদের সঙ্গে এই চক্রের মাথার খোঁজেও তদন্ত চলবে এমনটাই সুত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, গোয়াগামী এই প্রমোদতরীতে ৮০ হাজার-এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত টিকিট কেটে উঠেছিলেন অভিযুক্তরা।
যদিও একটি সুত্র বলছে, ‘বিশেষ অতিথি’র তালিকায় থাকা আরিয়ান খানের প্রবেশ ফ্রি-ই ছিল। জানা গিয়েছে, ড্রাগ পেডলার বা মাদক সরবরাহকারীদের থেকেই খবর পেয়েই এই অভিযান। এনসিবির একটি অংশ বলছে, ওই সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ সুত্র মারফৎ এনসিবির কাছে রেভ পার্টির খবর যায়। তারপরেই সাদা পোশাকে ছদ্মবেশে যাত্রী সেজেই ওই তরীতে ওঠেন এনসিবি আধিকারিকরা। লক্ষ্য একটাই, হাতেনাতে মাদক সেবনকারীদের আটক করা।
সেই লক্ষেই সফল হয়েছেন তদন্তকারীরা। যে আট জনকে আটক করা হয়েছে, তাঁদের লাগেজ ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কয়েকজনের পোশাক কেটে, দুই তরুণীর হিলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। প্রত্যেকের ব্যাগ পরীক্ষার পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনটাই এনসিবি সুত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এসট্যাসি, কোকেন, মেফেড্রন, এমডিএমএ মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। এই মাদকের মোট বাজারদর কত? এখনও বুঝে উঠতে পারেনি এই তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, যে প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে অভিযান চালানো হয়েছিল, সেই কোর্ডেলিয়ার জাহাজ মন্ত্রকের ছাড়পত্র ছিল না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানিয়েছে ডিজি-শিপিং অমিতাভ কুমার। বাণিজ্যিক এবং যাত্রী পরিবহণের স্বার্থে প্রমোদতরী ব্যবহারে বিশেষ লাইসেন্সে জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনে প্রমোদ প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু কোর্ডেলিয়ার আবেদনে কিছু ঘাটতি থাকায় মেলেনি ছাড়পত্র। এমনটাই জানান অমিতাভ কুমার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন