Advertisment

একাধিকবার নিয়ম ভেঙেছে ফেসবুক!

তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও ফেসবুকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করা, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে বিজেপির 'বিরুদ্ধাচারণ' এবং ফেসবুকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সম্প্রতি জলঘোলা হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে বাণিজ্যিক কারণে ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ রুলস’ লাগু করেননি। আমেরিকার ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে এও দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন। কারণ, তাহলে এ দেশে ব্যবসায় ধাক্কা খেতে পারে সংস্থাটি।

Advertisment

তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও ফেসবুকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করা, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং সোশাল প্ল্যাটফর্মে সরকারি বিষয়বস্তুর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগও তোলা হয়েছিল।

২০০৯ সালে, যখন ফেসবুকের মাত্র ২০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ছিল (ভারতে এটির বর্তমান ব্যবহারকারীর চেয়ে কম) সেই সময় এমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে ফেসবুকে, দাবি করেন সমালোচকেরা। প্রথম ফেসবুকের এই পক্ষপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলে জার্মান সরকার। ২০১৫ সালে, চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল শরণার্থীদের উপর ক্রমবর্ধমান জেনোফোবিক আক্রমণ নিয়ে সিইও মার্ক জুকারবার্গের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেই বছরই ফেসবুকের স্থানীয় কার্যনির্বাহী প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন জার্মান প্রসিকিউটাররা। ২০১৭ সালে ঘৃণ্য বক্তব্য পোস্টের বিরুদ্ধে একটি আইনও পাস করে জার্মান সরকার।

এমনকী ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের সময় ফেসবুক তৎকালীন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট করা ভিডিওগুলিকে তাদের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছিল। এই বিষয়বস্তুটি "পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রপতি কে হবেন"। এরপর চলতি বছরের মে মাসে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স প্রতিবাদ সম্পর্কে ট্রাম্পের একটি পোস্ট মুছতে প্রত্যাখ্যান করে ফেসবুক।

২০১৮ সালে মায়ানমারের একটি ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক এমন অভিযোগও সামনে আসে।

ভারতের ক্ষেত্রে কী নীতি নেওয়া হয়েছে?

প্রায় প্রতিটি দেশেই রয়েছে ইন্টারনেট রেগুলেশন আইন। এর মধ্যে পড়ে ফেসবুকও। যদিও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে পাবলিক পলিসি এবং কনটেন্ট মডারেশনের ক্ষেত্রে খুব সুক্ষ ফারাক রয়েছে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Facebook
Advertisment