Advertisment

400 paar: বিজেপির লক্ষ্য ৪০০ পার, ১৯৮৪-তে পেরিয়ে কিন্তু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কংগ্রেস! জানেন ইতিহাস?

Rajiv Gandhi’s tenure: ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব গান্ধী। সেই বছরই ২৪, ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর লোকসভা নির্বাচন হয়। দেশের অষ্টম লোকসভা নির্বাচন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rajiv Gandhi, Congress, রাজীব গান্ধী, কংগ্রেস

Rajiv Gandhi-Congress: হিন্দন বিমানবন্দরে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর ঘটনায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছেন রাজীব গান্ধী। (ছবি- এক্সপ্রেস)

How Rajiv Gandhi’s tenure was marred by struggles: এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়। ঠিক যেমনটা ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল। কিন্তু, প্রশ্ন হল যে, ৪০০-র বেশি আসন পাওয়া কি আদৌ চাট্টিখানি কথা? ১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে নিহত হন কংগ্রেসের শীর্ষনেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় সহানুভূতির ওপর ভর করেই কংগ্রেস সেবার ৪০০-র বেশি আসন পেয়েছিল। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা যে, এই বিপুল পরিমাণ আসন পাওয়ায় কংগ্রেসের শেষ পর্যন্ত ক্ষতিই হয়।

Advertisment

কংগ্রেসের ক্ষতির ইতিহাস
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব গান্ধী। সেই বছরই ২৪, ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর লোকসভা নির্বাচন হয়। দেশের অষ্টম লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সহানুভূতির সুনামিতে চেপে প্রথম ধাপে ৫১৪টি আসনের মধ্যে ৪০৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। পাশাপাশি, জঙ্গিপনায় বিধ্বস্ত পঞ্জাব এবং অসমে ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণের পর আরও ১০টি আসনে কংগ্রেস জিতেছিল। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪০ বছর। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে বফর্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হেরে যায়। আর, সেই ১৯৮৪ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত কংগ্রেস লোকসভায় কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

বিরোধীদের ভাঙন
ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছিল। চৌধুরী চরণ সিংয়ের জনতা পার্টি (ধর্মনিরপেক্ষ) তাঁর নিজের দল- জনতা পার্টি (এস-চরণ সিং) এবং জনতা পার্টি (এস-রাজ নারায়ণ)-এ বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮২ সালের আগস্টে, চরণ সিং-এর দল, যাকে এখন লোকদল বলা হয়, তার থেকে আলাদা হয়ে বিহারের নেতা কার্পুরী ঠাকুর নিজের দল গড়েন। মজার বিষয় হল- চলতি বছরের শুরুতে সেই চরণ সিং ও কর্পুরী ঠাকুর, দু'জনকেই 'ভারতরত্ন' দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিরোধী নেতার নেতৃত্বে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল সেই সময় গড়ে উঠেছিল। যেমন- জগজীবন রামের কংগ্রেস (জগজীবন পার্টি), এইচএন বহুগুনার ডেমোক্রেটিক সোসালিস্ট পার্টি (ডিএসপি), চন্দ্রজিৎ যাদবের জনবাদী পার্টি। জর্জ ফার্নান্ডেজ, মধু লিমায়ে, দেবী লাল ও বিজু পট্টনায়েক লোকদল (কে) পার্টিতে ছিলেন।

আরও পড়ুন- আর বড় ফাঁসে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি, ভয়ংকর অভিযোগ গৃহীত

রাজনৈতিক পালাবদল
১৯৮২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, তাঁর বাবা শেখ আবদুল্লাহ মারা যাওয়ার পর ফারুক আবদুল্লাহ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হন। কর্ণাটকে ১৯৮৩ সালের ১০ জানুয়ারি, জনতা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন রামকৃষ্ণ হেগড়ে। ৯ জানুয়ারি, তেলেগু অভিনেতা-রাজনীতিবিদ এনটি রামারাও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। পাশাপাশি, কিছু 'প্রগতিশীল এবং সমাজতান্ত্রিক' জাতীয় ও আঞ্চলিক দল সম্ভাব্য জোট বা একীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছিল। চন্দ্রশেখরের জনতা, কে রামচন্দ্রনের কংগ্রেস (ধর্মনিরপেক্ষ), বহুগুনার ডিএসপি এবং রতুভাই আদানির রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিল। বিজেপি অবশ্য সেই সময় এই সব জোটের বিরোধিতা করেছিল। আর বলেছিল, 'অর্থপূর্ণ সহযোগিতার' নীতি অনুসরণ করবে। বিজেপির তৎকালীন প্রধান অটলবিহারী বাজপেয়ী ও চরণ সিংয়ের মধ্যে জোট গঠন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনাও হয়। পরে, ১৯৮৩ সালের আগস্টে দুটি দল একত্রিত হয়। যা ছিল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-এর প্রথম অবতার। সব মিলিয়ে সেই সময়, জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী শিবিরে জোট করা আর জোট ভাঙার ঘটনা আকছার ঘটছিল।

bjp CONGRESS Rajiv Gandhi Indira Gandhi Loksabha
Advertisment