সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানিয়েছে যে টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের সমন্বিত মোট আয় বা এজিআর বকেয়া পরিশোধের জন্য ১০ বছর সময় পাবে। পাশাপাশি অর্থশূন্যতা এবং দেউলিয়ার কোডের আওতায় স্পেকট্রাম বিক্রি করা যাবে কি না তা স্থির করবে জাতীয় সংস্থা আইন ট্রাইব্যুনালের (এনসিএলটি)। তবে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই শীর্ষ আদালত বলেছে যে টেলিকম সংস্থাদের ২১ মার্চ, ২০২১ সালের মধ্যে মোট বকেটের দশ শতাংশ দিতে হবে।
বকেয়া এজিআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছে?
মঙ্গলবার দেওয়া রায় অনুসারে শীর্ষ আদালত সমস্ত টেলিকম সংস্থাদের প্রস্তাবিত পুরনো ২০ বছরের তফসিলের পরিবর্তে বকেয়া এজিআর অর্থ পরিশোধের জন্য ১০ বছরের সময়সীমা দিয়েছে। শীর্ষ আদালত টেলকোসকে ৩১ মার্চ ২০২০ সালের মধ্যে মোট এজিআর বকেয়া দশ শতাংশ প্রদানের নির্দেশনা দেয়। এরপরে জানান হয় ২০২১ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে বার্ষিক কিস্তিতে বকেয়া অর্থ প্রদান করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, টেলিকম সংস্থাগুলিকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি বা তার আগে পেমেন্ট করতে হত। যে কোনও বছরে পাওনা পরিশোধ না করায় সুদের পরিমাণ আদায় হবে এবং এ জাতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রমের জন্য ডাকা হবে।
এজিআর ইস্যুটি কী?
ভারতে পরিচালিত সমস্ত টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের মালিকানাধীন স্পেকট্রাম ব্যবহারের জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগকে (ডিওটি) লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম চার্জ হিসাবে তাদের রাজস্বের একটি অংশ প্রদান করে। এজিআর-এর সংজ্ঞায়, দফতর জানিয়েছিল যে টেলকোসকে অবশ্যই তাদের উপার্জিত সমস্ত রাজস্ব দেখাতে হবে।
টেলিকম সংস্থাগুলি এর বিরোধিতা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট-সহ বেশ কয়েকটি ফোরামে এজিআরের এই সংজ্ঞাটিকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। এরপরে শীর্ষ আদালত তাদের এজিআর প্রাপ্য পরিশোধের জন্য তিন মাস সময় দিয়েছে টেলকোসকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন