জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত চারটি বিল সংসদে আনল কেন্দ্র। বিলগুলোকে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আনা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই সব বিলে এমন আইন রয়েছে যা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সামাজিক-রাজনৈতিক বর্ণকে সম্ভাবত পরিবর্তন করতে পারে। এই বিলে জম্মু ও কাশ্মীরে তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। চারটি বিলই ২৬ জুলাই লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল।
ভারতে তফসিলি উপজাতি
সংবিধানের ৩৬৬ (২৫) অনুচ্ছেদে তফসিলি উপজাতিকে উপজাতি বা উপজাতি সম্প্রদায় বা এই জাতীয় উপজাতি সম্প্রদায়ের অংশ বা গোষ্ঠী হিসেবে ৩৪২ ধারার অধীনে গণ্য করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৪২ (১) রাজ্যপালের সঙ্গে পরামর্শের পরে রাষ্ট্রপতি একটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তফসিলি উপজাতিদের চিহ্নিত করে দিতে পারেন। অনুচ্ছেদ ৩৪২ (২)-এর (১) উপধারা অনুযায়ী, সংসদ আইন দ্বারা কোনও উপজাতি বা উপজাতি সম্প্রদায় বা কোন উপজাতি সম্প্রদায়ের একটি অংশ বা গোষ্ঠীকে বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে তফসিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে বা বাদ দিতে পারে।
তালিকা দেশব্যাপী নয়
তফসিলি উপজাতিদের তালিকা কোনও দেশব্যাপী তালিকা নয়। এটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দ্বারা নির্দিষ্ট। সংবিধানে তফসিলি মর্যাদা নির্ধারণের মানদণ্ড নির্দিষ্ট করা নেই। যাইহোক, 'আদিম বৈশিষ্ট্য, ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, অনগ্রসরতা এবং যোগাযোগের লজ্জা'-র মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব এক্ষেত্রে আরোপ করা হয়। সম্পূর্ণ ন্যায্যতা-সহ সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের সুপারিশ এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (আরজিআই) ও ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউল ট্রাইবস (এনসিএসটি)-এর সম্মতি একটি সম্প্রদায়কে এসটি হিসেবে মনোনীত করার জন্য আবশ্যিক বা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন- গোপনীয়তার অধিকার শিকেয়! কী বলা আছে তথ্যপ্রযুক্তি বিলে?
আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৫০ সালে
এসটি সংক্রান্ত দেশের প্রথম সাংবিধানিক (তফসিলি উপজাতি) বিধি ১৯৫০ সালে তৈরি হয়েছিল। যা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে জারি করেছিলেন। এতে উপজাতিদের রাজ্যভিত্তিক তালিকা রয়েছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই সংক্রান্ত ১৬টি নির্দেশ অনুসরণ করা হয়েছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং পুদুচেরিতে কোনও নথিভুক্ত তফসিলি উপজাতি নেই।