ভারতের মত চাঁদে অভিযান চালিয়েছে রাশিয়াও। তাদের চন্দ্রযান লুনা ২৫-কে নিয়ে ভারতেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এর কারণ হল, রাশিয়ার ল্যান্ডারটি ভারতের ল্যান্ডারের কয়েক দিন আগে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু ছুঁতে পারে। দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি নরম-ভূমি প্রথম স্পর্শের খেতাব সেক্ষেত্রে রাশিয়ারই জুটবে। রাশিয়া অভিযানটি ১০ আগস্ট শুরু করেছিল। তা ১৬ আগস্টের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে এবং ২১ বা ২২ আগস্টের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ধীরে-সুস্থে নামার চেষ্টা করবে।
Advertisment
কেন ভারতের চেয়ে রাশিয়ার চন্দ্রযান আগে চাঁদে পৌঁছবে? যদিও লুনা-২৫ কে এই সপ্তাহের শুরুতে তার সয়ুজ রকেটে চাপিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তার ঠিক একমাস আগে, ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। অথচ, রাশিয়ার চন্দ্রযান আগে চাঁদে পৌঁছবে। মানে, মাত্র কয়েক দিনে ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। রাশিয়ার যান এত দ্রুত চাঁদে পৌঁছনোর কারণ, তা অনেক সরাসরি পথ অনুসরণ করেছে। রাশিয়ার চন্দ্রযানের পেলোড হালকা। আর, জ্বালানিও বেশি পরিমাণে সঞ্চিত আছে। চন্দ্রযান-৩-এর ওজন ৩,৯০০ কেজি। আর, রাশিয়ার লুনা ২৫-এর ওজন মাত্র ১,৭৫০ কেজি। চন্দ্রযানের ল্যান্ডার-রোভারের ওজন একাই ১,৭৫২ কেজি। প্রপালশন মডিউলটির ওজন আরও ২,১৪৮ কেজি।
জ্বালানি বাঁচাতেই সময় বেশি লাগছে ভারতের চন্দ্রযানের ভারতের চন্দ্রযান ৩ বা LVM3-এ কম জ্বালানি সঞ্চয় আছে। সরাসরি চাঁদে পৌঁছতে বেশি জ্বালানি খরচ হয়। সেই জন্য ভারতের চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করে কক্ষপথ বড় করেছে। তারপর পৃথিবীর আকর্ষণ এড়িয়ে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঘুরে কক্ষপথ ছোট করে চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে। সেই কারণেই ভারতের চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের প্রায় ২২ দিন পরে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে। চাঁদের চারপাশে কক্ষপথ ছোট করে গতিবেগ কমিয়ে তা ২৩ আগস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে পারে।