Advertisment

সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে সহজ করবে কেন্দ্রের এই নয়া নীতি? জেনে নিন খুঁটিনাটি

এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য একটি কমন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে হবে। যার ব্যবস্থা করবে মোদী সরকার নির্মিত ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (এনআরএ)।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সরকারি চাকরির পরীক্ষা এবং নিয়োগে বড়সড় বদল আনল মোদী সরকার। একাধিক পদের জন্য একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তায় বদল আনল কেন্দ্র। এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির জন্য একটি কমন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে হবে। যার ব্যবস্থা করবে মোদী সরকার নির্মিত ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (এনআরএ)

Advertisment

কেন এই এনআরএ-এর প্রয়োজনীয়তা?

এখনও পর্যন্ত কর্মপ্রার্থীদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে চাকরি পেতে গেলে একাধিক পরীক্ষায় বসতে হয়। কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতরের সচিব সি চন্দ্রমৌলি জানান, প্রতিবছর ১.২৫ লক্ষ শূন্যপদের জন্য প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসেন। এখন এই নয়া নিয়ম যদি বলবৎ করা হয় তাহলে সুবিধা হবে প্রার্থীদেরই। এনআরএ আয়োজিত কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট (সিইট)-এ উত্তীর্ণ হলে প্রাপ্ত নম্বর দিয়েই শূন্যপদগুলির জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা।

সরকারী সমস্ত পরীক্ষাই কি পরিচালনা করবে এনআরএ?

প্রাথমিকভাবে গ্রুপ বি এবং সি (নন টেকনিক্যাল) পদের জন্য সিইটি পরীক্ষার মাধ্যমে বাচাই প্রক্রিয়া করা হবে। যা কি না আগে পরিচালনা করত স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি), রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) এবং ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্কিং পার্সোনাল সিলেকশন (আইবিপিএস)। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর যা পরীক্ষা হবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেগুলি পরিচালনা করবে উক্ত সংগঠনগুলি। এনআরএ-এর শীর্ষে থাকবেন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বা সমতূল্য পদমর্যাদার কোনও আমলা। এছাড়াও অবশ্যই থাকবেন এসএসসি, আরআরবি, আইবিপিএস-এর মতো প্রতিনিধিরা। সিইটি পরীক্ষা হবে তিনটি পর্যায়ে। স্নাতক মানের, উচ্চমাধ্যমিক মানের এবং মাধ্যমিক মানের উপর ভিত্তি করে।

প্রতিটি জেলায় জেলায় থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্র?

পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দেশের প্রতিটি জেলায় এই পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হবে। ১১৭টি জেলাকে ইতিমধ্যেই 'গুরুত্বপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখানে পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরি করতে বিশেষ নজরও দেওয়া হয়েছে। সরকারের মত এর ফলে দেশের দু:স্থ কর্মপ্রার্থীরা লাভবান হবে। যাতায়াত, পরীক্ষার ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হবে সব পদের জন্য যদি একটাই পরীক্ষা দিতে হয়।

এই সিইটি নম্বর কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকবে?

ফলাফল যেদিন প্রকাশিত হবে সেদিন থেকে ৩ বছর অবধি এই পরীক্ষার ফলাফলকে বৈধ হিসেবে ধরা হবে। একাধিক পরীক্ষায় বসতে পারেন প্রার্থী। তবে বৈধ স্কোরগুলির মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি থাকবে প্রার্থীর বর্তমান স্কোর হিসাবে সেটিকেই গণ্য করা হবে। যদিও বয়সের উর্ধ্বসীমা রয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে এই উর্ধ্বসীমায়।

কোন ভাষায় এই পরীক্ষা হবে?

কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং বলেন, “ভারতীয় দন্ডবিধির অষ্টম তফসিলি আইন অনুসারে সিইটি পরীক্ষা মোট ১২টি ভাষায় হবে।"

এর মাধ্যমে কি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হবে?

সরকারের মতে একাধিক পদের জন্য একটি পরীক্ষার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজতর হবে। সিইটি স্কোর, মেডিকেল পরীক্ষার ভিত্তিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে নিয়োগের কাজ।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Education
Advertisment