/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Return-of-Taliban.jpg)
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সন্ত্রাস, সন্ত্রাসের প্রত্যাবর্তন, তোলাবাজি, পণবন্দি করা- এই সব কার্যকলাপ পাকিস্তানকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে। যদিও অতীতের পরিস্থিতি যতটা খারাপ ছিল, এখন তেমনটা নয়। তারপরও, আফগান তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কারণ, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই টিটিপির আশ্রয়দাতা হিসেবে আফগান তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। আফগান তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক যে তলানিতে ঠেকেছে, তা গত ২ জানুয়ারি উভয়পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়েই প্রমাণিত। সম্প্রতি, কাবুলের এক পাঁচতারা হোটেল সেরেনায় আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়াজ আহমেদ চা পানের আসরে স্বীকার করেছেন যে আগে সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু, পরে আফগান তালিবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।
د پاکستان داخله وزیر ته !
عالي جنابه! افغانستان سوريه او پاکستان ترکیه نده چې کردان په سوریه کې په نښه کړي.
دا افغانستان دى د مغرورو امپراتوريو هديره.
په مونږ دنظامي يرغل سوچ مه کړه کنه دهند سره دکړې نظامي معاهدې د شرم تکرار به وي داخاوره مالک لري هغه چې ستا بادار يې په ګونډو کړ. pic.twitter.com/FFu8DyBgio— Ahmad Yasir (@AhmadYasir711) January 2, 2023
আর, তার জেরেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, তেহরিক-ই-তালিবানের ঘাঁটিতে বোমা মারার হুমকি দেন। যার ফলে, দীর্ঘ ১৬ মাসের বন্ধুত্বের কার্যত অবসান ঘটে। এখন পরিস্থিতি এমনই হয়ে উঠেছে যে, অতীতে আফগান তালিবানের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ভুল করেছিল। এমনটাও স্বীকার করতে হচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্তাদের।
আরও পড়ুন- গণ্ডার সংরক্ষণে বড় সাফল্য, কী জানাল অসম সরকার?
একদিকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার চাপ। যেখানে ভারত বারবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। অন্যদিকে, নিজেদের সেই মদতদাতা রাষ্ট্র নয় প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন পাকিস্তানের কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে বড় বাধা হয়ে উঠেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। যারা আজও তাদের এলাকায় ইচ্ছেমতো সরকার চালাচ্ছে। যেমনটা জঙ্গিরা চালিয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে পাক তালিবান জঙ্গিরা। তার জেরে পালটা হামলা চালায় পাকিস্তান সেনা। লাগাতার বোমাবর্ষণে পাক তালিবানদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাদের বহু নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও মারা যায়। এই পরিস্থিতিতে পাক তালিবানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আফগান তালিবান। যার জেরে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উত্তাপ বাড়ে।
পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছে ভারত। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তান, এই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। পালটা, কাশ্মীরকে আলাদা দেশ তৈরির চক্রান্ত সফল করতে জঙ্গি তৈরি শুরু করে পাকিস্তান। তারা জঙ্গিদের মদত দেওয়া শুরু করে। তখনই ভারত সাবধান করেছিল পাকিস্তানকে। বোঝাতে চেয়েছিল, এভাবে জঙ্গি তৈরি একদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই যাবে। আজ যেন সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে পাকিস্তানের জীবনে। তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের খাদে পৌঁছে যাওয়া সম্পর্ক যেন তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ।
Read full story in English