বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কার্যকালের মেয়াদ ২৫ জুলাই শেষ হচ্ছে। সেই কারণে, বৃহস্পতিবার (৯, জুন) নির্বাচন কমিশন ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। ১৮ জুলাই হবে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ২১ জুলাই।
ভারতীয় সংবিধানের ৬২তম অনুচ্ছেদ অনুসারে, বিদায়ী রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে তৈরি হওয়া শূন্যপদ বিদায়ী রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৬০ দিনের মধ্যে জারি করতে হবে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি।
কারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে?
সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং দিল্লি ও পুদুচেরির পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের ভোটদানের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজ্যসভা, লোকসভা ও বিধানসভার মনোনীত সদস্যরা এবং বিধান পরিষদের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না।
কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়?
সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। অনুচ্ছেদ ৫৫ (৩) ধারা অনুসারে, একক ভোটদানের মাধ্যমে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ব্যবস্থায়, ভোটারকে প্রার্থীদের নামের পাশে চিহ্নিত করে মতামত জানাতে হয়।
ভোটদাতারা একাধিক প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তবে, একাধিক প্রার্থীকে ভোট দিলে প্রথম পছন্দ কে, সেটাও ভোটদানের সময় জানাতে হয়। তবেই ব্যালট পেপার বৈধ হয়। এক্ষেত্রে বাকি পছন্দগুলোকে ঐচ্ছিক হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি পাঁচ জন প্রার্থী থাকে, তাহলে ভোটার পাঁচ জনকেই ভোট দিতে পারেন। কিন্তু, প্রথম পছন্দ কে তা উল্লেখ করতে হবে। তবেই ভোট বৈধ হবে। আর, ভোটার যদি একজনকেই ভোট দেন, তবে তো কথাই নেই।
কে জিতলেন কীভাবে জানা যাবে?
প্রতিটি ভোটের আলাদা গুরুত্ব থাকে। প্রতিটি বিধায়কের ভোটের মান নির্ধারিত হয়, রাজ্যের মোট জনসংখ্যাকে বিধায়কের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে, তাকে আরও ১,০০০ দিয়ে ভাগ করার পর যে ফল বের হয়, সেই ফল অনুযায়ী। সেই কারণে, রাজ্য অনুযায়ী বিধায়কদের ভোটের গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়। যেমন উত্তরপ্রদেশের একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য ২০৮, সেখানে সিকিমের একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য ৭। বিধানসভাগুলোয় এই ভোটের মূল্য যোগ করে দেখা যে তার পরিমাণ ৫.৪৩ লক্ষ।
আরও পড়ুন- নতুন ছোট যুদ্ধজাহাজ কিনবে নৌসেনা, লাগানো হবে কোন কাজে, জানুন সবিস্তারে
সংসদের দুটি কক্ষের জন্যও সেইরকমই ভোটের বরাদ্দ থাকে। সংসদের উভয় কক্ষে মোট ৭৭৬ জন সাংসদ রয়েছেন। তাই প্রতিটি সাংসদের ভোটের মূল্য দাঁড়ায় ৫.৪৩ লক্ষ ভাগ ৭৭৬। যার ফলাফল হয় ৭০০। বিধানসভা এবং সংসদের দুটি কক্ষ মিলিয়ে মোট ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৮৬ লক্ষ। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই বিজয়ী ঘোষিত হন।
Read full story in English