রবিবার (৯ এপ্রিল) ছিল 'ব্যাঘ্র প্রকল্প'-এর ৫০ বছর। ভারতে বাঘের সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল ২,৯৬৭। তা ৬.৭৪ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালে ৩,১৬৭ হয়েছে। ভারতে বাঘশুমারির ৫ম চক্রের পরিসংখ্যান থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই পরিসংখ্যান কর্ণাটকের মাইসুরুতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি
প্রধানমন্ত্রী ‘অমৃত কাল’-এর সময় বাঘ সংরক্ষণের জন্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সও (আইবিসিএ) চালু করেছেন। এই 'আইবিসিএ' বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, তুষার চিতা, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতা-সহ বিশ্বের সাতটি বড় বিড়ালকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তার সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। বড় বিড়ালজাতীয় প্রাণীর আশ্রয়দাতা দেশগুলো আইবিসিএর সদস্য।
ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, 'ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর হয়ে গিয়েছে। এর সাফল্য শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যই গর্বের ব্যাপার। ভারত শুধু বাঘকে রক্ষা করেনি। বরং, বাঘের বিকাশের জন্য একটি দুর্দান্ত বাস্তুতন্ত্রও উপহার দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আমরা যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছি, তখন বিশ্বে বাঘের সংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ রয়েছে ভারতেই। এদেশে ৭৫,০০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত বাঘের সংরক্ষণাগার। সকলের চেষ্টায় এই সংরক্ষণাগার গড়ে উঠেছে।'
আরও পড়ুন- মামলাকারীদের কোটি কোটি ডলার দিচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন, কেন?
ব্যাঘ্র প্রকল্প কী?
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল 'ব্যাঘ্র প্রকল্প' চালু করেছিল। এই প্রকল্প এমন এক সময়ে শুরু হয়েছিল, যখন ভারতে বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, স্বাধীনতার সময় দেশে ৪০,০০০ বাঘ ছিল। তাদের ব্যাপক শিকারের কারণে ১৯৭০ সালের মধ্যেই দেশে বাঘের সংখ্যা ২,০০০-এর নীচে নেমে আসে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আরও তীব্র হয় যখন ওই বছরেই আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়ন বাঘকে 'বিপন্ন প্রজাতি' ঘোষণা করে। দুই বছর পরে, ভারত সরকার তার নিজস্ব বাঘ শুমারি করে। যাতে দেখা যায়, দেশে মাত্র ১,৮০০ বাঘ রয়েছে।