মেঘালয় এবং আসাম, দুই রাজ্যই বুধবার জানিয়েছে যে তারা তাদের সীমান্তে মঙ্গলবার ছয় জনের প্রাণহানির ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চায়। চলতি মাসের শেষেই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বৈঠক। তার আগেই মঙ্গলবার অসম পুলিশের গুলিতে ছয় ব্যক্তির প্রাণহানি ওই বৈঠকে ছায়াপাত করবে। এমন উদ্বেগ রয়েছে অসম এবং মেঘালয় উভয়েরই। ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল? আর, আসাম ও মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত বিরোধটাই বা কীসের? এটি আসন্ন আলোচনায় কীভাবে প্রভাব ফেলবে? একবার দেখে নেওয়া যাক।
মঙ্গলবার কী হয়েছিল?
অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলা এবং মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহ গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে অসম পুলিশ ও মেঘালয়ের জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে অসম পুলিশের সঙ্গে অসমের বনরক্ষীরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই সংঘর্ষে অসমের এক বনরক্ষী-সহ ছয় জন প্রাণ হারানা। বেশ কয়েকজন আহত হন। অসম পুলিশের দাবি, তারা কাঠ পাচারের অভিযোগে একটি ট্রাক আটকানোর চেষ্টা করেছিল। সেই সময় জনতা তাদের ঘিরে ফেলে হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য তারাও পালটা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন মেঘালয়ের বাসিন্দা।
মেঘালয়ের প্রতিক্রিয়া
ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তিনি অসম পুলিশের ক্রিয়াকলাপকে 'অমানবিক' বলে নিন্দা করেছেন। সাংমা এক সাংবাদিক বৈঠকে অসম পুলিশ এবং বনরক্ষীদের 'মেঘালয়ে প্রবেশ' করার জন্য এবং 'বিনা উসকানিতে গুলি চালানোর' নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটি কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। যতক্ষণ না-হচ্ছে, তিনি বিচার বিভাগীয় কমিশন এবং বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে তদন্ত চালানোর কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইমরানের জন্য পদ খুইয়েছিলেন, এবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হচ্ছেন, কে অসীম মুনির?
অসমের প্রতিক্রিয়া
পালটা, অসম সরকারও অসম হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গড়ার কথা ঘোষণা করেছে। পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপারকে 'বদলি' করা হয়েছে। জিরিকিন্ডিং থানার অফিসার ইনচার্জ এবং খেরোনি ফরেস্ট রেঞ্জের বনসুরক্ষা আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, অসম সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম কার্বি আংলং-এ। যা, অসমেরই একটি জেলা।
Read full story in English